ছোটপর্দায় অভিনয়ের মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন দীপালি আক্তার তানিয়া। ‘রমিজের আয়না’, ‘কাননে কুসুম কলি’, ‘ঘোড়ার ডিম’, ‘সাত কাহন’-এর মতো ধারাবাহিক নাটকসহ ‘ব্ল্যাক মেইল’, ‘বাজে ছেলে: দ্য লোফার’, ‘আমি তোমার হতে চাই’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি।
শোবিজ অঙ্গনে কাজ করতে গিয়েই দীপালির সঙ্গে পরিচয় নির্মাতা জায়েদ রেজওয়ানের। ধীরে ধীরে একজন আরেকজনকে পছন্দ করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত পারিবারিকভাবেই হলো তাদের বিয়ে। শুক্রবার দুপুরে জায়েদ রেজওয়ানের সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হয় চিত্রনায়িকা দীপালির। বিয়ে, সংসার ও মিডিয়ার হালচাল নিয়ে শনিবার কথা বলেন ডেইলি বাংলাদেশের সঙ্গে।
সংসার জীবনে জন্য শুভ কামনা...
ধন্যবাদ। দোয়া করবেন আমাদের জন্য।
আপনার আর নির্মাতা জায়েদ রেজওয়ানের পরিচয় কিভাবে?
আমাদের দুজনের প্রথম কথা হয় ফোনে। সেখান থেকেই পরিচয়। কথার সুত্রপাত ছিল দুই বছর আগে তার একটি প্রোডাকশন নিয়ে। যদিও সেই কাজটি আর করা হয়নি তারপরও দুজনের মধ্যে স্বাভাবিক যোগাযোগ হতো। এরপর গত বছর দেখা হয়, কথা হয় ‘আঘাত’ নামের ওয়েব সিরিজের কাজ নিয়ে। তখন দুজনের মধ্যে ভালোলাগা তৈরি হয়। তবে আমাদের মধ্যে প্রেম হয়নি। এরপর সে সারাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আমিও তখন পরিবারকে জানাই। এরপর পরিবারের লোকজন বিয়ের আয়োজন করে।
কে আগে প্রেমের কথা বলেছিল?
অস্ট্রেলিয়ায় থাকা অবস্থাতেই জায়েদ রেজওয়ান আমাকে বললো উনি আমাকে পছন্দ করেন। তখন আমি তাকে বললাম আমি পারিবারিক ভাবে এগোতে চাই। যদি আপনি বিয়ে করতে চান তাহলেই সম্পর্কে জড়াতে পারি। কিন্তু কোনো প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে পারবো না। এরপর বিয়ে করার জন্য মত দিলেন, আমার বাবা মার সঙ্গে কথা বললেন। এরপর দুই পরিবারের কথা বার্তা হওয়ার পর গত বছরের ডিসেম্বরে আমাদের বাগদান হয়। আর শুক্রবার দুপুরে বিয়ে সম্পূর্ণ হলো। বলতে গেলে পরিচয় হতে হতেই বিয়ে হয়ে গেলো।
মন দেয়া নেয়ার পর প্রথম কি উপহার পেয়েছিলেন?
পরিচয়ের পর রেজওয়ান অনেক কিছুই দিয়েছে। কিন্তু প্রথম উপহার দিয়েছিল পারফিউম।
হানিমনের কি পরিকল্পনা করেছেন?
রেজওয়ান শনিবারেই দেশের বাইরে চলে যাবে। কাজের জন্যই যেতে হচ্ছে। তাই হানিমনের পরিকল্পনা করেছি এক মাস পর। কয়েকটি স্থান অপশন হিসাবে রেখেছি। তবে আমাদের দুজনেরই ইচ্ছা পূর্ব আফ্রিকার মরিসাসে যাওয়ার।
বিয়ের পর অভিনয় করবেন?
অভিনয় করবো বা করবো না এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের কথা হয়নি। এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করবো কেউই চিন্তা করিনি। অনেকের পরিবার থেকে অনেক সময় জানতে চায় বিয়ের পর কাজ করবে কি না? কিন্তু জায়েদ রেজওয়ানের পরিবারের পক্ষ থেকে এমন কোনো প্রশ্নের মুখোমুখি আমাকে দাঁড় করায়নি।
শোবিজের বর্তমান সময়ের সংসার বেশি দিন টিকছে না। আপনাদের সংসারে ভালোবাসাটা কি অটুট রাখতে পারবেন?
সবে মাত্র বিয়ে হলো, এসব নেগেটিব বিষয় নিয়ে সংসার শুরু করছি না। তাদের পরিবার থেকে যে ভালোবাসা পাচ্ছি আমার মনে হচ্ছে সংসার জীবন আরো উজ্জ্বল হবে। আল্লাহ না করুক আমার মনে হয় আমাদের মাঝে কোনো ঝামেলা হলে দুই পরিবার থেকে সমাধান করবে। সবার কাছে দোয়া চাই যেনো ভবিষৎতে আমাদের সম্পর্ক অটুট থাকে।