ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমণির আটকের আগে কথিত মডেল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা এবং মডেল মৌসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর এদের আটকের পরই তাদের কাছে যাওয়া অনেকই আত্মগোপনে।
জানা গেছে, গুলশান ও বনানী এলাকায় শিশাবার ও লাউঞ্জে ধনী ও প্রভাবশালীদের পরিবারের যেসব সন্তানদের আনাগোনা ছিলো তারা অনেকেই এখন আত্মগোপনে। আবার পরী, পিয়াসা কিংবা এমন শ্রেণীভুক্ত মডেল কিংবা উশৃঙ্খল তরুণীদের সঙ্গে বিভিন্ন পার্টিতে যেসব ধনীর দুলালরা ছবি তুলে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন সেগুলোও তারা ডিলিট করে দিচ্ছেন।
জানা যায়, পরী-পিয়াসাদের খদ্দের কেবল রাজধানী ঢাকা কেন্দ্রীক নয়, দেশের বিভিন্ন শহরের শীর্ষ পর্যায়ের ধনীর দুলালরাও রয়েছেন। আর এই নায়িকা এবং কথিত মডেলদের অসামাজিক-অস্বাভাবিককাণ্ড তাদের পরিবারের সদস্যরা জেনেও মুখ বন্ধ করে ছিলেন। অবৈধ সম্পর্কের বিনিময়ে ধনীর দুলাল, অসাধু ব্যবসায়ী কিংবা প্রভাবশালী কারও কারও কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া বিএমডব্লিউ গাড়ি এবং রাজকীয় বাড়িতে ছিলো তাদের বসবাস।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ের এক সদস্য গণমাধ্যমকে বলেন, কোন অভিযোগ পেলে বা উর্ধ্বতন পর্যায় থেকে নির্দেশনা আসলে আমরা সেই বিষয় নিয়ে কাজ করি। তবে অসাধু ধনীর দুলাল বা প্রভাবশালীদের তালিকা আমাদের হাতে রয়েছে। প্রয়োজন হলে সেগুলো কাজে লাগানো হবে।
জানা গেছে, কেবল রাজধানী ঢাকাতেই অসামাজিক ও অপকর্মে লিপ্ত ৩০০ শতাধিক ধনীর দুলালের তথ্য আইন প্রয়োগকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার হাতে রয়েছে।
এদিকে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্ণেল কে এম আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন সময়ে আমাদের কাছে অসামাজিক ও বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত কথিত মডেল, নায়িকা ও সুন্দরী তরুণীদের বিষয়ে অভিযোগ আসে। তাছাড়া আমাদের সাইবার মনিটরিং টিমের নজরদারিতেও তাদের অস্বাভাবিক রকমের আচরণ ধরা পড়ে।