জনপ্রিয় টিভি অভিনেতা আনন্দ খালেদ প্রথম অভিনয় করেছিলেন মঞ্চ নাটকে। তবে এখন মঞ্চ নাটকে তাঁর উপস্থিতি একেবারেই নেই। এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে আলাপে প্রথম অভিনীত নাটকের কথা ছাড়াও জীবনের উল্লেখযোগ্য প্রথম অনেক ঘটনার কথা বলেছেন আনন্দ খালেদ।
প্রথম স্কুল : উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ঢাকার কাকরাইলে স্কুলটি অবস্থিত।
প্রথম শিক্ষক : লিন্ডা ম্যাম। খুবই চমৎকার একজন মানুষ। ম্যামের হাতের লেখা অনেক সুন্দর ছিল। কিন্তু ছাত্র হিসেবে আমি অনেক গাধা ছিলাম। ছোটবেলায় পড়াশোনায় মনোযোগ ছিল কম ।
প্রথম অভিনীত নাটক : গাজী রাকায়েতের নির্দেশনায় প্রথম মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছিলাম। নাটকের নাম ছিল ‘জন্মসূত্র’। ভাগ্যক্রমে নাটকটির প্রধান একটি চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ আমার হয়েছিল। একটি যুদ্ধ শিশুর কাহিনী নিয়ে নাটকটির গল্পটি তৈরি হয়েছিল। কাজের অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ। আর প্রথম টিভি নাটকের নাম ছিল ‘আংশিক সাদা কালো’। নাটকটি পরিচালনা করেছিলেন সায়েম জাফরি। এখন টিভি নাটক নিয়েই বেশি ব্যস্ত। মঞ্চ নাটক আর করা হয়নি।
প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা : খুব বেশি নাভার্স ছিলাম। আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে, নাটকের শুটিংয়ের সময় আমি মাস্টার শট দিতে পারলেও ক্লোজ শট ঠিকমতো দিতে পারিনি। বার বার এনজি শট হয়েছিল। অনেক কষ্টে শুটিং শেষ করেছিলাম। খুব ভয়াবহ ছিল সেই অভিজ্ঞতা।
প্রথম পারিশ্রমিক : কলেজে পড়ার সময় টিউশনি করে প্রথম পারিশ্রমিক পেয়েছিলাম দুই হাজার টাকা। প্রথম পারিশ্রমিক পাওয়ার আনন্দ আজো ভুলতে পারিনি। সেই টাকা দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে চটপটি ও ফুচকা খেয়েছি। খাওয়া শেষে অনেক ঘুরেছি সবাই মিলে।
প্রথম পড়া বই : আমি ছোটবেলায় বইয়ের পোকা ছিলাম। সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা সিরিজের বইগুলো প্রথম পড়েছিলাম। এ ছাড়া অনেক বিখ্যাত লেখকের বইও আমি পড়েছি।
প্রথম প্রেম : পরীর সঙ্গে প্রথম প্রেম করতে চেয়েছিলাম। মানে, আমি যে মেয়েটাকে ভালোবাসতাম সেই মেয়েটা একদম পরীর মতো দেখতে ছিল। ক্লাস এইটে পড়ার সময় মেয়েটির প্রেমে পড়েছিলাম আমি। ওর জন্য প্রেমপত্রও লিখেছিলাম। কিন্তু মেয়েটির বড় ভাইয়ের ভয়ে তাঁকে কখনো সেই চিঠিগুলো দেওয়া হয়নি। আমাদের বাড়ির পাশে ইস্কাটনের গলিতে মেয়েটির বাসা ছিল। মেয়েটির নাম আমার এখনো মনে আছে কিন্তু এখন সেটা আর বলতে চাই না। সে এখন কোথায় আছে সেটাও জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি সেই মেয়েটিই ছিল আমার জীবনের প্রথম প্রেম।
প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র : শিহাব শাহীন পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘ছুঁয়ে দিলে মন’। ছবির নায়ক আরিফিন শুভর বন্ধু ছিলাম আমি। ছবিটিতে অভিনয় করে দারুণ সাড়া পেয়েছিলাম। হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো রোমান্টিক একটি ছবি ‘ছুঁয়ে দিলে মন’।