সব নিয়ম-নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেশের বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন এবার মুনাফা লুফতে পর্ন ভিডিও বিক্রিতে নেমেছে। গ্রাহকদের আকর্ষণীয় অফার ম্যাসেজ (এসএমএস) দিয়ে গ্রামীণফোনের ওয়েবসাইটে প্রবেশের মাধ্যমে এসব পর্ন ভিডিও দেখার আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
গ্রামীণফোনের গ্রাহক অপু হাসানের মোবাইলে বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রামীণফোনের ০০২০০০ নাম্বার থেকে আসা টেক্সট ম্যাসেজে বলা হয় ‘নতুন মুভিতে পরিনীতি চোপড়ার আপত্তিকর গোপন ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন- ‘http://wap.gpstore.co/p?l=70’ একটি ম্যাসেজ আসে।
ভিডিওটি দেখতে ২ টাকা ৪৪ পয়সা কেটে রাখা হবে বলে জানানো হয় গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে। যদিও একজন গ্রাহক জানিয়েছেন, বলিউডের লাস্যময়ী জনপ্রিয় নায়িকা পরিনীতি চোপড়ার এই ভিডিও দেখতে গিয়ে তার মোবাইল ব্যালেন্স থেকে ১৭ টাকা ৫০ পয়সা কেটে নিয়েছে গ্রামীণফোন।
গ্রামীণফোনের গ্রাহক অপু হাসানের ম্যাসেজটির স্ক্রিনশট এবং টেক্সট পূর্বপশ্চিম প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এ বিষয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গ্রামীণফোনের মতো নামকরা একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পর্ন ভিডিও দেখার জন্য আমাদের (গ্রাহক) ম্যাসেজ পাঠাবে এটা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায়না।
তিনি আরো বলেন, এমনিতেই গ্রামীণফোনের অনাকাঙ্খিত ম্যাসেজের অত্যাচারে অতিষ্ট। সরকারের ‘বিটিআরসি’ কর্তৃপক্ষের এবিষয়ে কঠোর নজরদারি থাকলে তাদের অত্যাচারের হাত থেকে আমরা সাধারণ গ্রাহকরা মুক্তি পেতাম।
এবিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামীণফোনের কাস্টমার ম্যানেজার ফয়সাল আহম্মেদ পূর্বপশ্চিমকে বলেন, এটি সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল সমস্যা। এজন্য আমরা ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের কাছে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থণা করেছি। আপনার কাছেও দুঃখ প্রকাশ এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
তিনি আরো বলেন, এ সমস্যার বিষয়ে আমরা আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগযোগ করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে তাদেরকে মেইল করে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, কোনো মোবাইল অপারেটর গ্রাহকদেরকে এধরনের ম্যাসেজ পাঠাতে পারে না। কোনো গ্রাহক অভিযোগ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।
গ্রামীণফোনের ম্যাসেজ প্রাপ্তির পর তাদের ওয়েবসাইট ‘জিপি ষ্টোর’ এ প্রবেশ করে ভিডিওটি দেখা যায়। যদিও কাস্টমার ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলার পর পুনরায় ভিডিওটি দেখার চেষ্টা করা হলেও আর দেখা যায়নি।
গ্রামীণফোনের বেশ কয়েকজন গ্রাহক অভিযোগ করেছেন, গ্রামীণফোন ইচ্ছামতো ম্যাসেজ পাঠিয়ে থাকে ২৪ ঘন্টা। অনাকাঙ্খিত ম্যাসেজ হিসেবেই অধিকাংশ গ্রাহকই ম্যাসেজগুলো মুছে ফেলেন।