সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ থাকায় দ্বীপের প্রকৃতি ও পরিবেশের উন্নতি হচ্ছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকা এই প্রবাল দ্বীপে বেড়েছে শামুক-ঝিনুকের বিচরণ, জেগে উঠছে সবুজ প্যারাবন
অন্য বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত পর্যটকদের প্রবেশের সুযোগ থাকলেও এবার ৩১ জানুয়ারিতেই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আগের দুই মাসে দৈনিক দুই হাজার পর্যটক দ্বীপটিতে ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছিলেন, যা আগে পাঁচ হাজার পর্যন্ত ছিল।
পরিবেশ অধিদপ্তর সম্প্রতি ড্রোন ব্যবহার করে দ্বীপের জমে থাকা প্রায় ৯৩০ কেজি বর্জ্য অপসারণ করেছে। বর্জ্যের বেশিরভাগই ছিল চিপসের প্যাকেট, পলিথিন ও বিস্কুটের প্যাকেট।
পর্যটক ও যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপের ৭-৮ কিলোমিটার সৈকতে শামুক-ঝিনুকের আস্তর জমতে শুরু করেছে, যা সৈকতের বালুর ক্ষয় রোধে সহায়ক। পূর্বে সৈকত থেকে শামুক-ঝিনুক আহরণ করে মিয়ানমারে পাচার করা হতো।
পর্যটকদের চলাচল না থাকায় দ্বীপের দক্ষিণ অংশে প্যারাবনের বৃদ্ধিও লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয়রা সাগরে মাছ ধরা, শুঁটকি তৈরি এবং সবজি-তরমুজ চাষে ব্যস্ত রয়েছেন। পর্যটকবাহী জাহাজের চলাচল বন্ধ থাকায় সমুদ্রের পানিও স্বচ্ছ নীল রং ধারণ করেছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর দ্বীপের সুরক্ষায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বেকারদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেবে। দ্বীপে ২৩০টির বেশি হোটেল-রিসোর্ট-কটেজ থাকলেও কোনোটিরই পরিবেশ ছাড়পত্র নেই।
পর্যটক সীমিত করার ফলে দ্বীপের পরিবেশের উন্নতি, প্রবাল আহরণ বন্ধ, মা কাছিমের ডিম পাড়ার পরিবেশ সৃষ্টি এবং লাল কাঁকড়া, শামুক-ঝিনুকের বংশবিস্তার ঘটেছে বলে জানিয়েছে পরিবেশবিষয়ক সংগঠন ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস)।
প্রথম আলো অবলম্বনে