বিতর্কিত ও পরিকল্পিত জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের অপচেষ্টা করায় মিয়ানমারের সামরিক জান্তাদের প্রতি ফের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, কানাডাসহ স্বায়ত্বশাসিত তাইওয়ান। বিরোধীদল ও মতের ওপর সরকারের নৃশংসতার কঠোর সমালোচনাও করে তারা। তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) একটি সাক্ষাত্কারে আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, `আমরা খুব সতর্কতার সঙ্গে (শাসকদলের পরিকল্পিত নির্বাচন) পর্যবেক্ষণ করব এবং মিয়ানমারে মানবাধিকার সুরক্ষা এবং গণতন্ত্রের পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রাখব।’
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কমপক্ষে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার সমমূল্যের অস্ত্র আমদানি করেছে। জাতিসংঘের মিয়ানমার-বিষয়ক মানবাধিকার-সংক্রান্ত বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজের যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গত ১৭ মে প্রকাশিত বিশেষ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, অধিকাংশ অস্ত্র রাশিয়া ও চীনের পাশাপাশি সিঙ্গাপুরে পরিচালিত কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে পেয়েছে মিয়ানমারের জান্তা। আমদানির মধ্যে ছিল অস্ত্র, সামরিক-বেসামরিক কাজে ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তি ও অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণ। এগুলো ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমদানি করেছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা।
এর আগে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, মিয়ানমারের তিন জেনারেলের সম্পদ জব্দ ও ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। অন্যদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে কানাডা। নির্বাচিত সরকার হটিয়ে ক্ষমতা দখল করা মিয়ানমারের সেনাশাসকদের ওপর অবরোধ আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য ও কানাডা। এই নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের তিনটি দেশ মিয়ানমারের সেনাদের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নিল। গত সপ্তাহে অবরোধ আরোপের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
অং সান সু চিসহ ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির কয়েক শ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের ক্ষমতায় বসে সেনাবাহিনী। শুরু থেকেই এই সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে আসছে পশ্চিমা অনেক দেশ।
পাঠকের মতামত