রাজধানীর উত্তরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে এসে ধরা পড়েছেন এক রোহিঙ্গা নারী। ওই নারীর নাম হতিজা আক্তার। মঙ্গলবার তাঁকে তুরাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। উত্তরা পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক শাহ মুহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
শাহ মুহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় ওই নারীর কাছে তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) চাওয়া হয়। এনআইডি পরীক্ষা করে দেখা যায়, ডেটাবেজে সব তথ্য আছে। তাঁর এনআইডিও ভুয়া নয়। ঠিকানা দেওয়া হয়েছে সাভারের আশুলিয়ার। ওই ঠিকানা ব্যবহার করে চার মাস আগে এনআইডি তৈরি করেন তিনি। এনআইডি সঠিক হলেও সন্দেহ দূর না হওয়ায় তাঁর আঙুলের ছাপ নিয়ে রোহিঙ্গাদের ডেটাবেজের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা যায়, তিনি নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী।
শাহ মুহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, হতিজা রোহিঙ্গা নারী, এটা নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় অবস্থানকারী এক ছেলের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। ওই ছেলের পরামর্শে পাসপোর্ট তৈরি করে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। এ ক্ষেত্রে তাঁর সব খরচ বহন করছিলেন মালয়েশিয়ায় অবস্থানকারী ওই ছেলে।
এনআইডি পরীক্ষা করে দেখা যায়, হতিজা আক্তারের নামে ইস্যু হওয়া এনআইডি ভুয়া নয়
এনআইডি পরীক্ষা করে দেখা যায়, হতিজা আক্তারের নামে ইস্যু হওয়া এনআইডি ভুয়া নয়।
সাভারে মরিয়ম নামের এক নারীর বাসায় থেকে হতিজা এনআইডি তৈরি করেন। স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে তিনি মরিয়মের বাসার ঠিকানা দিয়েছেন। তিনি কীভাবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির থেকে আশুলিয়ায় এসেছেন, কাদের সহায়তায় এনআইডি তৈরি করেছেন এবং পাসপোর্ট তৈরির চেষ্টা করছিলেন—আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা অনুসন্ধান করবে বলে জানান শাহ মুহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ।
এ বিষয়ে তুরাগ থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা অনুজ কুমার সরকার রাত নয়টার দিকে বলেন, পাসপোর্ট অফিস কোনো রোহিঙ্গা নারীকে তুরাগ থানায় সোপর্দ করেছে, এমন কোনো তথ্য তিনি জানেন না। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমও রাত নয়টার দিকে প্রথম আলোকে জানান, এ বিষয়ে কিছু জানেন না তিনি