উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫/০৭/২০২৩ ২:২২ পিএম

পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমারের করা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ দুইজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) এ বিষয়ে আবেদনের শুনানি করে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এমন আদেশ দেন।

আদেশের বিষয়টি ঢাকা মেইলকে জানিয়েছেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

তিনি বলেন, ‘পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের দায়েরকৃত ধানমন্ডি থানার সাইবার মামলার পুলিশের রিপোর্ট আমলে নেওয়ার জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল। বিজ্ঞ সাইবার আদালত, ঢাকা দুইজনের বিরুদ্ধে রিপোর্ট আমলে নিয়েছেন। আর দুইজনের বিরুদ্ধে আমলে নেননি।’

শিশির মনির বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে আমলে নিয়েছেন তারা হলেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন, বাবুল আক্তারের ছোট ভাই হাবীবুর রহমান লাবু।’ আর যাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট আমলে নেননি তারা হলেন, সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ও বাবুল আক্তারের পিতা আবদুল ওয়াদুদ।

২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ করা হয়।

মামলার এজাহারে পিবিআই প্রধান অভিযোগ করে বলেন, আমার নেতৃত্বাধীন তদন্ত সংস্থা পিবিআই’র দেশের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলা তদন্তাধীন থাকাকালে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতার প্রধান আসামি হিসেবে তদন্তে প্রকাশ পায়। তদন্তকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলহাজতে থাকা বাবুল ও বিদেশে অবস্থানরত সাংবাদিক ইলিয়াসসহ বাকি আসামিরা মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত ও পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন।

এরই ধারাবাহিকতায় বাবুল আকতার ও অন্যান্য আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচণায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ডকুমেন্টারি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন। যা সম্পর্কে ৪ সেপ্টেম্বরে আমি অবগত হই। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে তদন্তাধীন মিতু হত্যা মামলার তদন্তকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধসহ তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়।

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, ইলিয়াস হোসাইন ভিডিওতে প্রচারিত বক্তব্যে দেশের ভাবমূর্তি এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উসকানি দেওয়া হয়। এছাড়া ভিডিওতে পুলিশ এবং পুলিশের বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা পিবিআই ও বিশেষ করে আমার মান-সম্মান ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হয়েছে। যার জন্য দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে এর নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করে। এসব কারণে মামলা করা হয়।

পাঠকের মতামত

ন্যূনতম খাদ্য গ্রহণে খরচ করতে হচ্ছে দারিদ্র্যসীমার ব্যয়ের চেয়ে প্রায় ৭০% বেশি

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে সুস্থভাবে জীবনধারণের জন্য প্রতিদিন যে পরিমাণ খাদ্যশক্তি (২ হাজার ১০০ ...

রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণের পক্ষে নয় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব

রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণ বাংলাদেশের জন্য বিবেচনাযোগ্য বিকল্প নয় বলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ঢাকা প্রধান ল্যান্স ...