পৃথিবীর প্রতিটি পুরুষকে আমি পৌরুষের সর্বোচ্চ স্তরে দেখতে চাই। কারণ পুরুষত্ব কোনো সহজ ব্যাপার নয়। আমি জানি, পুরুষের অনেক দোষত্রুটি আছে, অন্যায় আছে। কিন্তু তাঁর চাইতেও বড় কথা, একজন নারীর রক্ত-মাংসের শরীরের ঊর্ধ্বে গিয়ে তাঁকে সম্মান করার যোগ্যতা প্রতিটি পুরুষের আছে।
কিন্তু তাঁর সেই ঐশ্বর্যময় পৌরুষত্বকে সে প্রতি মুহূর্তে একটা স্থূলতার মধ্যে নিষ্পেষিত করতে থাকে। তাঁর সেই ঐশ্বর্যের ডাক আমি শুনতে পাই। প্রতিটি পুরুষের তাঁর নিজের পদতলে নিষ্পেষিত হয়ে পড়া সেই পৌরুষত্বের হাহাকার, চিৎকার আমার কানে বাজতে থাকে। কেন এমন হয়, আমি জানি না। হয়তো গুরুদেবকে খুঁজি আমি।
আমি চাই, পুরুষ নিজেকে চিনুক, জানুক। তাহলেই আমাদের মুক্তি। পুরুষ নিজেইতো আজ বন্দী, নারীর উষ্ণ চামড়ার খাঁজে। আমারতো মনে হয়, তারই মুক্তি দরকার সবার আগে।
আমি জানি, আমার এসব কথা অনেক নারীবাদীর চোখে হাস্যকর মনে হবে। আমি তাদের বলতে চাই, হ্যাঁ আজ এই একুশ শতাব্দীতে, পশ্চিমা দেশে থেকে, তের বছর পশ্চিমা স্বামীর পাশে থেকেই আমি বলছি, পুরুষ, তুমি ছাড়া নারী অপূর্ণ।
আমি কোনো হাউজ ওয়াইফ নই, আমি অশিক্ষিত-ভীতু নই। আমি জীবনের নানা অভিজ্ঞতা আর বিশুদ্ধ জ্ঞানের আধারেই জেনেছি, পুরুষকে বাদ দিয়ে নারী সামনে এগিয়ে যাবে ঠিকই, কিন্তু তাঁর নারীত্বকে সে পিছে ফেলে যাবে। নারী শুধু নারীর একটা খোলস বয়ে বেড়াবে। নারীর সেই খোলস কী করে আগামীর মানুষ গড়ে তুলবে, সেখানেই আমার ভয়!
ফেরদৌসি বিকনের ফেসবুক পোস্ট থেকে
primenewsbd
পাঠকের মতামত