ডেস্ক রিপোর্ট ::স্ত্রী মিতুু হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে। পুলিশ এবং গোয়েন্দা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এটাকে বাবুল আক্তারের ডায়নামিক কাজকর্মে পুলিশের এক পক্ষে ইর্ষার ফল হিসেবে দেখছেন প্রবাসী সাংবাদিক ফজলুল বারী। এক্ষেত্রে এ প্রজন্মের সাংবাদিকদের দায়িত্ব এবং অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তিনি।
ফজলুল বারী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন: রাষ্ট্রের মাথা কী পুরোটাই আউলাইয়া গেছে! পুলিশের এসপি বাবুল আখতারের স্ত্রীর হত্যাকাণ্ডের পর সারাদেশে কম্বিং অপারেশন চালানো হলো! এত লোক গ্রেফতার করা হলো! আর এখন স্ত্রী হত্যার দায়ে সন্দেহভাজন হিসাবে আটক করা হয়েছে বাবুল আখতারকে!
একজন এসপিকে আটক করতে সরকারের উর্ধতন মহলের অনুমতি লাগে। সেটি দেয়া হয়েছে বলে তাকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু খেলাটা কোথাকার দেখতে জানতে হবে। চট্টগ্রামের বাবুলের ডায়নামিক কাজকর্মে সেখানকার পুলিশসহ কোন মহলই স্বস্তিতে ছিলোনা।
তারাই এখন বাবুলকে ফাঁসাচ্ছে কীনা জানতে হবে। এই ছবিটি দেখুন। নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে কেউ এভাবে শিশুর মতো কাঁদতে পারে? আর নিজের সোর্স দিয়ে বাবুল নিজের স্ত্রীকে খুন করাবেন! এতোই কী কাঁচা বুদ্ধির লোক ছিলেন আমাদের বাবুল আখতার?
আর তিনিতো পালিয়ে ছিলেন না। পুলিশ যখন ডেকেছে তখনই তদন্ত সংশ্লিষ্টদের তিনি কথা বলতে গেছেন। এমন একজনকে পুলিশ দিয়ে নাটক করে তুলে নিয়ে যেতে হবে কেনো? শুধু পুলিশের ভাষ্য নয়, আশা করছি আমার প্রিয় প্রজন্ম কোন একজন অনুসন্ধানী রিপোর্টার পুরো বিষয়টির সত্য বিশ্বস্ততার সংগে তুলে আনবেন।
পাঠকের মতামত