যশোরের নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) মাসুদ আলম বলেছেন, ‘চাকরিকে রুটি-রুজির পাশাপাশি আমি ইবাদত মনে করি। এই কাজের মাধ্যমে আমি জান্নাতে যেতে চাই।’ বুধবার যশোর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মাসুদ আলম বলেন, সাংবাদিকরা হলেন সমাজের আয়না। জাতির বিবেক। আমরা যশোরকে শান্তি ও স্বস্তির জেলায় পরিণত করতে পারি, যদি আপনারা আমাদের সহায়তা করেন। সাংবাদিকদের সহযোগিতা পেলে যশোরকে মাদক, সন্ত্রাস ও কিশোর গ্যাং মুক্ত করা সম্ভব।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আপনার সত্য তথ্য দিবেন, যাচাই করে শতভাগ পদক্ষেপ নেব। আমি তদবির করে পোস্টিং নিই নাই। আমার বদলির ভয় নেই। বদলির আদেশ হলে চলে যাব। তবে আমি যখন এসেছি, কাজ করতে চাই। আমাদের কাছে সন্ত্রাসীদের যে তালিকা আসবে, আমরা সেই তালিকা অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে কাজ করব। সন্ত্রাসীদের কার রঙ কালো, কার রঙ সাদা সেটি বিবেচ্য হবে না।
এর আগে গত সোমবার মাসুদ আলম যশোরে যোগদান করেই নিজে বাইসাইকেল চালিয়ে জেলা প্রশাসকের বাংলোয় যান। বাংলোর গার্ড তাঁকে জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া ঢুকতে দেননি। পরে তিনি চলে যান চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়িতে। সেখানে দীর্ঘক্ষণ গেট ঝাকাঝাকি করলেও কেউ খুলতে আসেনি। এরপর যান কোতোয়ালি মডেল থানায়। সেখানে তিনি পরিচয় গোপন রেখে মোবাইল হারিয়ে গেছে জানিয়ে ডিউটি অফিসারের কাছে জিডি করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে ডিউটি অফিসার একজনকে দেখিয়ে দিয়ে বলেন, জিডি করতে হলে ৫০০ টাকা লাগবে। টাকা না দেওয়ায় তিনি জিডি করতে পারেননি।
এরপর তিনি চলে যান পুলিশ লাইনে। গেটে কর্মরত কনস্টেবল তাকে দাঁড় করান এবং ব্যারাকে কার সঙ্গে দেখা করবেন তা জানতে চান। তখন ব্যারাকে কামাল নামে এক বন্ধু আছে জানালে কনস্টেবল তাকে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দেন। কনস্টেবলদের ব্যারাকের তিনতলায় গিয়ে তিনি সবার সঙ্গে খিচুড়ি খান।
বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এই ছদ্মবেশি অভিযানের বিষয়টিও উঠে আসে