কক্সবাজারের পেকুয়ায় অপহরণের পর স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফের জানাজা শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় পেকুয়া ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিভিন্ন জায়গা থেকে শোকার্ত হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
জানাজায় ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, পরিবারের পক্ষে আরিফের ছোট ভাই রিয়াদ ইসলাম, নিহত আরিফের চাচা এডঃ নুরুল হুদা, বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা এ, এইচ, এম বদিউল আলম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টইটং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেড এম মোসলেম উদ্দিন, পেকুয়ার সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট কামাল হোসেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী পেকুয়া উপজেলার সেক্রেটারী মাওলানা ইমতিয়াজ উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মোঃ মুজিবুল হক চৌধুরী, পেকুয়া উপজেলা কিন্ডার গার্ডেন এসোসিয়েশনের সহসভাপতি মাওলানা হাসান রাব্বানী, শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইবরাহিম, শিলখালী আইডিয়াল স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি ডিরেক্টর মাসুদ, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মঞ্জু সহ আরও অনেকে।
বক্তব্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, খুনি যেই হোক তাকে তদন্ত করে অবশ্যই গ্রেফতার করতে হবে। যারা অন্যায় করবে তারা কখনো রেহায় পাবেনা এবং কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না, কোন নিরীহ মানুষ যেন মামলায় অন্তর্ভুক্ত না হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
অন্যান্য বক্তারা অনতিবিলম্বে যারা আর আরিফের হত্যাকান্ডে সাথে জড়িত তাদের বিচারের মুখোমুখি করার ২৪ ঘন্টা আল্টিমেট দেন।
উল্লেখ, গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯ টায় পেকুয়া সদরের ফায়ার সার্ভিসের সামনে থেকে অপহরণ হয় স্কুল শিক্ষক আরিফকে। গতকাল শুক্রবার টানা ১৪ দিন পর নিহত আরিফের নিজ পরিত্যক্ত পুকুর থেকে তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার হয়।
নিহতের জানাজায় ইমামতি করেন বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ,এইচ, এম বদিউল আলম। নিহত আরিফকে মাতব্বর পাড়া সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
পাঠকের মতামত