ইমরান হোসাইন::
পেকুয়ায় ইউএনও’কে নারী দিয়ে চক্রান্ত করে ফাসানোর চেষ্টা চলছে। মহানুভব, সৎ, আদর্শবান, ন্যায় বিচারক, পরিশ্রমী, কর্মঠ সর্বোপুরি প্রশংসনীয় গুনাবলীর অধিকারী জনপ্রিয় সর্বজন স্বীকৃত একজন সরকারি কর্মকর্তাকে নিয়ে চলছে মামলার ফাঁদ। এক শ্রেনীর নষ্ট চরিত্রের মানুষ তার পিছনে লেগেছে। সমাজ ও সভ্যতাকে জিম্মিকারী ওই কীট চক্র ইউএনও’র কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে সক্ষম হননি। তাই তারা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে ইউএনওকে।
পেকুয়ার ইউএনও মারুফুর রশিদ খান সবসময় ছিলেন সেবক। তিনি অন্যায়কে কখনো দেয়নি প্রশ্রয়। প্রায় সময় নিজেকে সমৃক্ত রাখতেন মানবিক কাজ কর্মের মধ্যে। দুর্বল ও অক্ষম মানুষের প্রতি তার উদারতা ছিল প্রচন্ড। দাপ্তরিক কার্যত্রমে মারুফুর রশিদ খান অগ্রাধিকার দিয়েছেন দুর্বল ও বঞ্চিতদেরকে। সেবা প্রাপ্তি হিসেবে তার কাজ থেকে সর্বাধিক সেবা নিয়েছেন বঞ্চিতরা। যেসব মানুষ পেশি শক্তি ও বলিয়ানদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে অবিচারের শিকার হয়েছে তাদের অন্যতম আশার ভরসা ও নির্বিক প্রতিক হয়েছিলেন তিনি। অসহায়, গরিব ও নির্যাতিত মানুষের আশ্রয়স্থল ছিলেন তিনি। অনিয়ম, দুর্নীতিকে কখনো প্রশ্রয় দেননি। একজন সরকারি কর্মচারি হিসেবে দাপ্তরিক কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে থাকেননি তিনি।
পাশাপাশি পেকুয়াকে পরিবর্তনের বাস্তব প্রতিচ্ছবিও তার মধ্যে প্রবল ছিল। তিনি পেকুয়ায় আসার পর থেকে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কাজ কর্মের অভাবনীয় পরিবর্তন সাধিত হয়। উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিজেকে মেলে ধরেছেন। সরকারি বরাদ্ধের পাশাপাশি তিনি সার্বজনীন কাজ সম্পাদন করতে এগিয়ে এসেছেন। সৌর বিদ্যুতায়নের মাধমে পেকুয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নের গুরুত্বপুর্ন পয়েন্ট আলোকিত করেছেন। পানি ও সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে উপজেলার বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ দিয়ে খনন করেছেন গুরুত্বপুর্ন কহল খাল। উপজেলা পরিষদ মাঠ ভরাট করে সেখানে সৌদর্য্য বর্ধনের সৃজিত করা হয়েছে বাগান। চিত্ত বিনোদন ও শিশুদের খেলাধুলার জন্য উপজেলায় হয়েছে পার্ক। ঘুর্নিঝড় রোয়ানুর ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিলি করেছেন শতশত বান ঢেউটিন। শিক্ষার্থীদের জন্য সরবরাহ দিয়েছেন স্কুল ড্রেস। মানুষকে সেবা দিতে কখনো বিরক্তবোধ করেননি। অফিস সময়ের পাশাপাশি নিজ বাসায় বসে মানুষের নানাবিধ সমস্যার সমাধান দিতেন তিনি। ধনী আর গরীব কোন তফাৎ ছিলনা তার মধ্যে। বাল্য বিয়ে বন্ধে তিনি ছিলেন কঠোর। পাহাড় নিধন, খতিয়ান বাণিজ্য, অবৈধ বালি উত্তোলন, দখল-বেদখল, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, দমন করেছেন কঠোর হস্তে। এসব সার্বজনীন কাজ পেকুয়াবাসির কাছে ইউএনও বিশ্বাস ও আস্থার প্রতিক হয়েছেন সাধারন মানুষের কাছে। তার চলাফেরা সাধারন মানুষের মত। তিনি একজন ইউএনও বা শাসক সেটি কাউকে বুঝতে দেয়নি। সাধারন মানুষের কাতারে নিজেকে মিশিয়ে রাখতেন তিনি।
কিন্তু এসব করতে গিয়ে কিছু নষ্ট চরিত্রের মানুষ তার পিছনে লেগেছে। গুনঞ্জন উঠেছে একটি চক্র ইউএনওকে নিয়ে দুর্ধান্ত নষ্টামিতে মেতেছে। তারা এক মহিলাকে দিয়ে কাল্পনিক একটি সাজানো ঘটনা মঞ্চস্থ করার পাঁয়তারা করছে।
বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ইউএনও মারুফুর রশিদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা। ওই মহিলা তাকে হয়রানির অভিযোগ উথ¥াপন করেন। জানা গেছে স্বামী পরিত্যক্ত এক মহিলা ও এক যুবক মিলে মহিলার দেবর টইটং ইউনিয়নের নাপিতখালী এলাকার শাহাদত হোসেনকে আটকিয়ে গত ১৩ অক্টোবর জোরপুর্বক একটি খালি ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। এনিয়ে ভুক্তভোগি শাহাদত বাদি হয়ে ষ্ট্যাম্প উদ্ধারে পেকুয়া নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি এমআর মামলা করেন। শুনানীর জন্য আদালত উভয় পক্ষকে নোটিশ দেয়। কিন্তু নোটিশে ক্ষিপ্ত হয়েছেন ওই মহিলা।
আরো জানা গেছে ওই মহিলা এর আগে বাদি হয়ে একই আদালতে মোহরনা ও খরপোষ আদায়ের মামলা করেন। খরপোষ ও মোহরানা আদায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের আওতার বর্হিভুত হওয়ায় আদালত বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য গ্রাম আদালতে ন্যস্ত করেন। কিন্তু মহিলা এসব বিষয়ে ইউএনও মারুফুর রশিদ খানের প্রতি ক্ষেপে যান। ইউএনও স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাকে মানবিক চিন্তা করে তাকে উপজেলা পরিষদে ঝাড়–দার হিসেবে অস্থায়ী নিয়োগ দেন। সেখানে তাকে নিয়ে প্রবল আপত্তি উঠে। এর সুবাধে ইউএনও তাকে এক মাসের মাথায় চাকুরি থেকে অব্যহতি দেন। এসবের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওই মহিলা ইউএনওকে ফাঁসাতে নানা ধরনের ফন্দি আটে। সর্বশেষ গত ১৩ অক্টেবার তাকে হয়রানির অভিযোগ এনে এ অভিযোগটি উথ¥াপন করেন। দেবরকে আটকিয়ে ষ্ট্যাম্প নিয়েছিলেন একই তারিখ ওই মহিলা।
এমআর মামলার বাদি শাহাদত হোসেন জানায় গত ১৩অক্টোবর চৌমুহনী থেকে আমাকে তুলে নিয়ে একটি বাসায় আটকিয়ে রেখে নুরুন্নহার বেগম ও এক যুবক একটি তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল খালি ষ্ট্যাম্পে জোরপুর্বক স্বাক্ষর নেয়। ষ্ট্যাম্প উদ্ধারে আমি পেকুয়া নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দু’জনকে বিবাদি করে একটি মামলা করি। কিন্তু ওই মহিলা অন্যায়কে ধামাচাপা দিতে এখন নানান ফন্দি করছে। সে একজন মামলাবাজ। সে আমাদের সংসারের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করছে।