পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা, উজানটিয়া, সদর ইউনিয়ন ও রাজাখালী ইউনিয়নকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবী জানিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি এম.কফিল উদ্দিন বাহাদুর। তিনি দাবী করেন পেকুয়া উপজেলার উপকূলীয় এ ৪টি ইউনিয়নের মানুষ বার বার প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে যুদ্ধ করে আসছে। এসব ইউনিয়নে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। গত শনিবারের ঘুর্ণিঝড় ”রোয়ানু”র প্রভাবে এই চার ইউনিয়নের মানুষের জানমাল ও বসতবাড়ি লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। শত শত কাচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ হয়েছে। দেয়াল চাপায় আহত হয়েছে অনেকে। গাছপালা উপড়ে গেছে। চলাচলের রাস্তা-ঘাট বিধ্বস্থ হয়েছে। বর্তমানে এক ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে এসব ইউনিয়নের মানুষগুলো। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানো প্রভাবে টানা বৃষ্টি ও সমুুুদ্রের জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে উপজেলার উপকুলীয় চার ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানি বন্দী হয়ে আছে। কয়েক হাজার একর চিংড়ি ঘের ও লবন মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে।
তিনি আরো জানান, পেকুয়া উপজেলার মগনামা, উজানটিয়া, সদর ইউনিয়ন ও রাজাখালী ইউনিয়নের বেড়িঁবাঁধ ইতোপূর্বেও বিধ্বস্থ হয়। এসব স্থানের বিধ্বস্থ বেড়িঁবাঁধ টেকসই সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন না করায় শনিবারের ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে তা আবারো বিলীন হয়ে গেছে। গত বছরও পুর্ণিমার জোয়ারে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়, গত একবছরে সে ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাড়াতে পারেনি দূর্গত মানুষগুলো। বর্তমানে জোয়ারভাটা চলছে এসব ইউনিয়নগুলোতে। রাজাখালী, মগনামা ও উজানটিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। শুধু এই তিনটি ইউনিয়নে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। দুর্গত মানুষগুলো আশ্রয় নিয়েছে সাইক্লোন শেল্টার কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তারা আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তিনি প্রাকৃতিক দুর্যোগে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এম.কফিল উদ্দিন বাহাদুর বলেন, এ উপকুলের ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরি ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেই ক্ষতি এখনো পুষিয়ে উঠতে পারেনি উপকুল এলাকার মানুষগুলো। তিনি অবিলম্বে পেকুয়ার এ ৪টি ইউনিয়নকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে বিধ্বস্থ বেঁিড়বাঁধ সংস্কারের দাবী করেন।