বিশেষ প্রতিবেদক, পেকুয়া
পেকুয়ায় হাফেজ মৌলানা গিয়াস উদ্দিনকে (৩৫) কান ধরে উঠাবসা করালেন মগনামা ইউপি'র চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ইউপি কার্যালয়ের এজলাস কক্ষে ওই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় পুরো উপজেলার আলেম সমাজের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
[audio wav="http://www.ukhiyanews.com/wp-content/uploads/2016/11/Wasim.wav"][/audio]
চেয়ারম্যানের হাতে লাঞ্ছিত মৌলানা গিয়াস উদ্দিন মগনামা ইউনিয়নের পূর্বকূল এলাকার মৃত ফজল করিমের পুত্র, উজানটিয়া ইউনিয়নের পেকুয়ার চর জামে মসজিদের ইমাম ও পেকুয়া উপজেলা ওলামা লীগের সদস্য।
[audio m4a="http://www.ukhiyanews.com/wp-content/uploads/2016/11/Voice-011.m4a"][/audio]
তিনি বলেন, প্রতিবেশী নূর আহমদের পরিবারের সাথে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ওইদিন আমাকে ইউপি কার্যালয়ে ডাকেন চেয়ারম্যান ওয়াসিম। বাদী পক্ষের ব্যক্তবের পরে আমি বক্ত্যবের দিতে শুরু করলেই চেয়ারম্যান আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এমনকি তিনি আমাকে টুপি/ জুব্বা খুলে কান ধরতে বলেন। এতে ইউপি সদস্য খোরশেদ ও আমি আপত্তি জানালে গ্রাম পুলিশকে বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেন। বেত্রাঘাতের ভয়ে আমি কান ধরে উঠাবসা করি। জনসম্মুখে এঘটনার পর থেকে আমি লোকসমাজে মুখ দেখাতে পারছিনা। এতদিন মানুষের সম্মান, ভালবাসা নিয়ে চলেছি। এখন লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছিনা। এঘটনা প্রকাশ না করতে চেয়ারম্যান আমাকে হুমকিও দিয়েছে।
মগনামা ইউপি'র ৭নং ওয়ার্ড সদস্য খোরশেদ ইমামকে কান ধরে উঠাবসা করানোর কথা স্বীকার করে বলেন, চেয়ারম্যান বিবাদী গিয়াস উদ্দিনের বক্তব্য পুণারাবৃত্তি করতে বললে সে না করায় এই অপ্রতিকর ঘটনা ঘটে।
এব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মোঃ কাইয়ুম ও পেকুয়া উপজেলা ওলামালীগ সভাপতি ইউনুছ কাদেরী বলেন, আমরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে মগনামা ইউপি'র চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম কান ধরানোর কথা স্বীকার করলেও উঠবস করানোর কথা অস্বীকার করেন।