কফিল উদ্দিন রাজু (২৪) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গতকাল ৩০ আগস্ট (মঙ্গলবার) সকালে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে ভুক্তভোগী তরুণী উপস্থিত হয়ে ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল কফিল উদ্দিন রাজু বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইনসে কর্মরত আছেন। তিনি কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মনিরুল ইসলামের ছেলে।
চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কাছে ভুক্তভোগী তরুণীর দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগের সূত্রে ও তরুণীর সাথে কথা বলে জানা যায়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পুলিশ কনস্টেবল কফিলের সাথে তার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পুলিশ কনস্টেবল কফিল উদ্দিন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন সময় ও তারিখে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। সম্প্রতি ওই তরুণী বিয়ের কথা বললে পুলিশ কনস্টেবল কফিল নানা অজুহাত দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই তরুণী গত ২৪ আগস্ট বিয়ের দাবিতে পুলিশ কনস্টেবল কফিলের বাড়িতে গিয়ে দিনভর অনশন করে। অনশনের এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় কফিলের বাড়ির লোকজন ওই তরুণীকে ব্যাপক মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। পরে তরুণী পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এরপর ওই তরুণী ২৫ আগস্ট কফিলের কর্মস্থল ব্রাক্ষণবাড়িয়া পুলিশ লাইনে চলে যান। সেখানকার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ওই তরুণীকে সদর থানায় নিয়ে যায়। পরে ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর থানার ওসি কফিলের পিতাকে থানায় ডেকে পাঠান এবং কফিলকে পুলিশ লাইনস থেকে ছুটির ব্যবস্থা করেন। ২৬ আগস্ট কফিল, তার পিতা ও তরুণীকে পেকুয়া পাঠিয়ে দেন উভয় পরিবারের মাঝে আলোচনার মাধ্যমে বিয়ে সম্পাদনের জন্য। কিন্তু সুচতুর কফিলের পিতা ওই তরুণীকে চট্টগ্রামে এনে গাড়ি থেকে কৌশলে নামিয়ে দিয়ে চম্পট দেয়। পরে ওই তরুণী আবারো নিরূপায় হয়ে গতকাল ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে হাজির হয়ে পুলিশ কনস্টেবল কফিলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে প্রতিকার প্রার্থনা করেন।
ভুক্তভোগী তরুণীর আইনজীবি এডভেকেট আবুল কাসেম জানান, তরুণীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয় কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পুলিশ সদস্য কফিলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন শিগগিরই মামলা দায়ের করা হবে।
পাঠকের মতামত