কক্সবাজারের টেকনাফে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এর পাশে ‘পেটের ভিতর ইয়াবা বহনের' কিছু আলামত পাওয়া গছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সোমবার (৩ এপ্রিল) রাতে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের রুহুল্ল্যাডেবা এলাকায় মৃতদেহটি পাওয়া যায় বলে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান।
মৃত মাসুদ রানা ওরফে ইদ্রিস পাটোয়ারি (৩০) রাজবাড়ী জেলার আলীপুর ইউনিয়নের কল্যাণপুরের প্রয়াত মান্নান ব্যাপারীর ছেলে।
ওসি আব্দুল হালিম বলেন, সোমবার রাতে রুহুল্ল্যারডেবায় এক ব্যক্তির বসত ঘরে রহস্যজনক মৃত্যুর শিকার একজনের মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর পাওয়া যায়। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় শান্তি দেবীর মালিকাধীন মোহাম্মদ আজিজের ভাড়া ঘর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে।
নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হওয়া অবস্থায় মৃতদেহটি পাওয়া যায়। এ সময় মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় কিছু কলার খোসা ও ইয়াবা সেবনের ফয়েল পেপার।
ওসি বলেন, পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, পেটের ভেতরে স্কচস্টেপ মোড়ানো ইয়াবার পোটলা গিলে খেয়ে পাচারের উদ্দেশে মাসুদ রানা সেখানে অবস্থান করছিল। উদ্ধার করা আলামতগুলো পেটে ইয়াবা গিলানোর কাজে ব্যবহৃত হতো। অতিরিক্ত ইয়াবার পোটলা গিলে খাওয়ায় অথবা পেটের ভিতরে পোটলা খুলে গিয়ে তার মৃত্যু হতে পারে।
তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান ওসি আব্দুল হালিম।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, আড়াই বছর আগে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ এলাকার মাঝেরপাড়ার অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ আজিজ বাসাটি ভাড়া নেন। বাসায় আজিজ ছাড়া পরিবারের অন্য কেউ থাকতেন না। আর মাসুদ রানা মাঝে মধ্যে বাসাটিতে আসা-যাওয়া করতেন।
ধারণা করা হচ্ছে পেটের ভেতরে ইয়াবা বহন করে পাচারের উদ্দেশ্যে তার ঘরটিতে যাতায়াত ছিল।
ঘটনার পর থেকে ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ আজিজ পলাতক রয়েছেন। রহস্য বের করতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসাটির মালিকের ছেলে সুমন দেবকে থানায় আনা হয়েছে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।