গত ২৩ আগস্ট কক্সবাজারের দৈনিক আমাদের কক্সবাজার ও উখিয়া নিউজ ডটকম (অনলাইন) পত্রিকায় "ভুয়া দুই কাস্টমস কর্মকর্তার গাঁ ঢাকা, ৭ টি সর্ণের বার লুট "শীর্ষক সংবাদ গূলো আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদের উপস্থাপিত তথ্য সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দ্যেশ্যমুলক ও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অবতারণা এবং বিভ্রান্তকর। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে, আমরা নিম্ন সাক্ষরকারী গণ বালুখালী উখিয়ার ঘাট কাস্টমস চেকপোস্ট ও শুল্ক গুদামের স্থানীয় নিয়োগপ্রাপ্ত প্রহরী হই। মাসিক প্রাপ্ত বেতন -ভাতা দিয়ে কোন রকমে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অর্পিত দায়ীত্ব সৎ ও নিষ্ঠার সহিত পালন করে আসছিলাম। গত ১৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ঘুমধুম হয়ে কিছু ছোট শিশু ইয়াবা নিয়ে আসছিল সন্দেহজনক গোপন খবর পায়। তাৎক্ষণিক কাস্টমস গোদামে দায়ীত্বরত সাব ইন্সপেক্টর ইমাম হোসেন কে অবগত করিয়া কাস্টমস স্টেশন সম্মুখে উৎপেতে থাকি। কয়েকজন রোহিঙ্গা ছোট শিশু ঘুমধুম হয়ে কাস্টমস স্টেশনের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে দুর থেকে থামানোর সংকেত দিলে শিশুরা পালিয়ে যেতে থাকে। অন্তত ২শত গজ ব্যবধানে ধাওয়া করলে একজন শিশুর কোমর থেকে প্লাস্টিক মোড়ানো একটি প্যাকেট ফেলে দৌড়াতে থাকে। ব্যবধান বেশী হওয়াতে উক্ত ছেলেদের আটকানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু শিশুর ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের প্যাকেটটি কুড়িয়ে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের উপস্থিতিতে খুলে ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। উক্ত ইয়াবা গুলো ছাড়িয়ে নিতে স্থানীয় ও বহিরাগত মিলে কয়েকজন যুবক অনৈতিক আবদার করে ব্যর্থ হয়। আমরা কাস্টমস এর এসআই এর মাধ্যমে উদ্ধার করা ইয়াবার বিষয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় জব্দ প্রতিবেদন তৈরী করতঃ ইয়াবা গুলো শুল্ক গোদামে জমা করা হয়। যার মামলা নং -জি আর -৪৪৭ /১৭, তাং -১৭ /০৮ /২০১৭ইংরেজি। উদ্ধার ইয়াবা সংক্রান্তে রুজু করা মামলার বিষয়ে অবগত হয়ে চট্রগ্রামের দৈহিক সাংগু, কক্সবাজারের দৈনিক আমাদের কক্সবাজার সহ কয়েকটি প্রিন্ট ও ঢাকার ইনিউজ ৭১ ডটকম, টেকনাফের নাফ জার্নাল ডটকম, উখিয়া নিউজ টুডে (অনলাইন) সহ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যবহুল ও নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু বাস্তব সত্য এ ঘটনাকে অনৈতিক আবদার করা (ইয়াবা ছাড়িয়ে নিতে তদবীর কারী) কিছু লোক ক্ষুদ্ধ হয়ে ১৭ আগস্টের সকাল সাড়ে ৯ টার ইয়াবা আটকের ঘটনা বিকেলে সর্ণের বার সাজিয়ে পরিকল্পিত মিথ্যাচার চালাতে থাকে। আটক ইয়াবা গুলো ছিনিয়ে নিতে না পেরে চিহ্নিত যুবকগণ চাঁদা দাবী করে প্রত্যাখ্যাত হয়ে নানা অপবাদ, মিথ্যাচার করে বেড়ায়। স্থানীয় কিছু পুলিশের দালাল প্রকৃতির লোকের ইশারায় ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ি ও উখিয়া থানার পুলিশ স্থানীয় কয়েকজন যুবক কে সন্দেহজনক ধরে নিয়ে খোঁজ -খবর নিয়ে সত্যতা না পেয়ে তাদের ছেড়ে দেয়। ধরে নিয়ে যাওয়া যুবকদের নিকট থেকে পুলিশ কল্প কাহিনী সাজিয়ে কিছু শিখিয়ে দেয়া বুলি ভিডিও রেকর্ডিংও করা হয়। যা, ইয়াবা আটকের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে আমাদের মত হতদরিদ্র লোকজনদের হয়রানির পাঁয়তারা মাত্র। ঘুমধুম- তুমব্রু সড়কের সীমান্ত পয়েন্টে বাইশফাঁড়ি, তুমব্রু, ঘুমধুম বেতবুনিয়া বাজারে ৩টি বিজিবির চেকপোস্ট, ২০ /২৫ হাত অন্তর বিজিবির টহলদল, গ্রাম পুলিশ, ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির টহলদল, কাস্টমস এলাকায় হাইওয়ে পুলিশ, উখিয়া থানার পুলিশের নিয়মিত টহলদলের উপস্থিতি লক্ষণীয়।আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কড়া নজরদারি ফাঁকি দিয়ে সর্ণের বার পাচার হয়ে আসা হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়। আমরা হলফ করে বলতে পারছি সর্ণের বার ছিনিয়ে বা আটক তো দুরের কথা, চোখে যে দেখিনী তা শপথ করে বলতে পারবো। মুলত কাস্টমস এলাকা কিছু বেকার লোকের আড্ডাস্থল। কোন কাজ না থাকায়, কেবা কারা কি করছে তা আমাদের দেখার বিষয় নয়। যারা সর্ণের বিষয়ে মিথ্যাচার করছেন, তারা হয়তো নিজেরাই এসবের সাথে জড়িত। সর্ণের মালিক কে বা কারা, তারা যদি চিনেন। চিনে থাকলে হাজির করে প্রমান করে দিন, অনুরোধ রইল। আমরা সর্ণতো দুরের কথা, কোন লোকই পায়নি, সেখানে আটকিয়ে রেখে ৪ লাখ টাকা আদায় অবান্তর বিষয়। কোন কিছু না পেয়ে কাউকে টাকা প্রদান করে নেতা বা পুলিশ ম্যানেজ করার প্রশ্নই আসেনা। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখিত আনসার উল্লাহ ব্যবসায়ী। তার সাথে কাস্টমস এর কোন সম্পর্ক নাই। তাকে সহ যাদের কথা (মিয়ানমারের লোক) বলা হয়েছে, তাহা ডাহা মিথ্যা, কল্পনা প্রসুত। আমরা প্রকাশিত সংবাদের ব্যাপারে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা সহ কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার সবিনয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
আবুল হোছাইন, আবদুল হালিম দুদু মিয়া, আনসার উল্লাহ,
উখিয়ার ঘাট, বালুখালী, উখিয়া, কক্সবাজার।