সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশিত: ০৩/১১/২০২৩ ৯:০০ এএম

গত ০২ নভেম্বর ২০২৩ জাতীয় পত্রিকা, স্থানীয় পত্রিকা ও নিউজ পোর্টাল সহ বিভিন্ন ফেইসবুক আইডিতে “উখিয়ার ২১ পরিবার ভিটে দখলের অপচেষ্টা, তিন হাজার ফলজ-বনজ গাছ কেটে সাবাড়” শিরোনামে যে শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা আমার (ইকবাল বাহার মেম্বার) এর দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

উক্ত সংবাদগুলিতে উল্লেখিত যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এটি মূলত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রাণালয়ধীন “শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম” নির্মাণের জন্য ৩.০০ একর জমিতে প্রস্তাবিত৷ যার বি.এস ৬০২৮ নং দাগে ২৫২.০০ একর জমি কক্সবাজার এর নামে বি.এস ০১ নং খাস খতিয়ানে রেকর্ড চূড়ান্ত হয়েছে৷

এখানে “ইকবাল বাহার মেম্বারের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৪৫ জন ব্যক্তি সশস্ত্র গিয়ে বেপরোয়াভাবে গাছ কাটে” বলে বানোয়াট ভাবে সংবাদ প্রকাশ৷ এটি মূলত উখিয়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রস্তাবিত জায়গায়। একটি সাইনবোর্ড দিতে গিয়ে পাহাড়ের জঙ্গল কাটার সময় হয়তো ছোটখাটো দুয়েকটা গাছ কেটে যায়। এখানে তিন থেকে চার জন শ্রমিক কিছু জঙ্গল পরিষ্কার করেছে৷ তারা মূলত ক্রীড়া সংস্থার নির্দেশে এই কাজ করে৷ এখানে আমাকে (ইকবাল মেম্বার) নেতৃত্ব দিচ্ছে মিথ্যা ভাবে জড়ানো হয়েছে৷ এটার সাথে আমার কোন স্বার্থসংশ্লিষ্ট জড়িত নাই।

উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার জন্য প্রস্তাবিত খাস জায়গায় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির স্বার্থসংশ্লিষ্ট উদ্দেশ্য টিকিয়ে রাখার জন্য এই সংবাদটি প্রচার করা হয়েছে। এখানে ক্রীড়া সংস্থার কাজে বাঁধা দিয়ে একটি প্রভাবশালী মহল নতুন করে পাকা ঘর তৈরি করতে দেখা গিয়েছে। এসব মিথ্যা সংবাদ করে তিলকে তাল বানিয়ে ফায়দা লুটছে একটি মহল।

আমাকে (ইকবাল বাহার মেম্বার) বা আমাদের কে রাজনৈতিকভাবে ও সামাজিকভাবে হেও প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে সংবাদগুলি প্রকাশ করা হয়েছে। উক্ত সংবাদগুলি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি উক্ত সংবাদগুলির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি৷

এদিকে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই যায়গা বনবিভাগের আওতায় নেই৷ এটি আগে খাস ছিল বর্তমানে খতিয়ান ভুক্ত করা হয়েছে৷ কাগজে যা দেখেছি এটি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রস্তাবিত জায়গা।

উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শাহীন জানান, এটি মূলত উপজেলা ক্রীড় সংস্থার খতিয়ানভুক্ত জায়গা। গত মঙ্গলবার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের পূর্বে একটি সাইনবোর্ড দেওয়ার জন্য কিছু জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে দুয়েকটা ছোট গাছ কেটে যায়৷ তা নিয়ে তীলকে তাল বানানোর জন্য একটি প্রভাবশালী পক্ষ উঠেপড়ে লেগেছে৷ খাস জায়গায় আমাদের গাছ কাটা বা উচ্ছেদ করার কোনো অধিকার নেই৷ এটি মূলত নির্বাহী মেজিস্ট্রেট উচ্ছেদ করে দিবে৷ আমরা একটু জঙ্গল পরিষ্কার করেছি৷ এবিষয়ে আমরা কয়েকদিনের মধ্যে একটি সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত আরও জানিয়ে দেওয়া হবে৷

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা ক্যাম্প ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’, মৃত্যু কমলেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরগুলো ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ হয়ে উঠেছে। শীত মৌসুমেও এই দুই উপজেলার ...