অনেক দিন পর লাক্সের থিমেটিক টিভিসি তৈরি হলো বাংলাদেশে। এতে কাজ করার অনুভূতি কেমন ছিল?লাক্স বাংলাদেশের সবচেয়ে আইকনিক ব্র্যান্ড। পৃথিবীর বড় বড় তারকা লাক্সের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান। বাংলাদেশে এর আগে লাক্সের থিমেটিক টিভিসিতে অপি করিম, সাদিয়া ইসলাম মৌ, বিপাশা হায়াত, শমী কায়সার, আফসানা মিমিদের মতো গুণী অভিনেত্রীরা কাজ করেছেন। আমরা যারা কাজ করি, প্রায় সবারই এই স্বপ্ন থাকে যে সে লাক্সের টিভিসিতে কাজ করবে। সুতরাং লাক্সের এই টিভিসির কাজটা আমার জন্য এক অন্য রকম অনুভূতি ও বলতেই হবে ইট ওয়াজ আ ড্রিম কাম ট্রু! খুব নার্ভাস লেগেছে, কিন্তু চেষ্টা করেছি নিজের সর্বোচ্চটা দেওয়ার। আশা করি দর্শকদের ভালো লেগেছে।
কনসেপ্টের জায়গা থেকে টিভিসির গল্পটা আপনার কাছে কেমন লেগেছে?
এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে একটা খুব রিসেন্ট ঘটনা শেয়ার করতে হবে। একটা ফটোশুটের সেটে তোলা কয়েকটা সেলফি পোস্ট করেছিলাম আমার ফেসবুক পেজে। ভালো কমেন্টসের পাশাপাশি যথারীতি বেশ কিছু নেগেটিভ কমেন্টস আসতে শুরু করল। কেউ বলেছে, লিপস্টিকের রঙটা মানাচ্ছে না, কারও অভিযোগ আমি সব সময় এত সেজেগুজে থাকি কেন? এক সময় বিরক্ত হয়ে ছবিগুলো ডিলিট করে দেই। তখন মনে হলো, আমরা মেয়েরা প্রতিনিয়ত কতটা জাজমেন্টাল কমেন্টসের সম্মুখীন হই; নিজের ইচ্ছেমতো কিছু করাতে গেলে বাধার সম্মখীন হতে হয়। তার কিছু দিন পরই যখন লাক্সের টিভিসির গল্পটা শুনলাম, আমি প্রচ- অনুপ্রাণিত/ইন্সপায়ার্ড হই এবং প্রায় লাফিয়ে উঠেছিলাম যে এই টিভিসিটা আমার করতেই হবে। গল্পটা খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট- কীভাবে মেয়েরা চারপাশের জাজমেন্টাল মানুষের ভয়ে প্রতি মুহূর্তে নিজেদের এডিট করে চলেছে। অথচ প্রতিটি মানুষের নিজেকে উপস্থাপন করা এবং নিজের স্বকীয়তাকে তুলে ধরা তার নিজের সিদ্ধান্ত। তবে আমাদের চারপাশের যে জাজমেন্টাল মানুষজন রয়েছেন তারা সেটা উপেক্ষা করে, আবার অনেকে না বুঝেও কমেন্ট করে বসেন। এই টিভিসির গল্পের মাধ্যমে মানুষের সামনে বিষয়টা স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে যারা জাজমেন্টের ভয়ে নিজেকে আটকে রাখে এবং হীনমন্যতায় ভোগে, তাদেরকেও বোঝানো যে অন্যের কমেন্টে নিজেকে এডিট করা যাবে না, এগিয়ে যেতে হবে নিজের মতো করে। সব মিলিয়ে টিভিসির কনসেপ্টটা খুবই পাওয়ারফুল এবং রিলেটেবল। যেন প্রতিটি মেয়ের গল্প এটা।
একই টিভিসির ইন্ডিয়ান ভার্সনে দীপিকা আর বাংলাদেশ ভার্সনে আপনি অ্যাক্টিং করেছেন। আপনার কাছে এটা কেমন চ্যালেঞ্জ মনে হয়েছে?
এই টিভিসিতে দীপিকা বেশ বোল্ড অ্যাক্টিং করেছে। আমি তার রোল থেকে ইন্সপিরেশন নিয়েছি। কিন্তু আমার নিজস্বতাকে তুলে ধরাতেই প্রাধান্য দিয়েছি বেশি। আমার ইনডিভিজুয়ালিস্টিক স্টাইলেই কনসেপ্টটাকে ওন করতে চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয় এতে করে টিভিসির থিমটার সঙ্গে আমি আরও ভালোভাবে মিশে যেতে পেরেছি ও ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি। দর্শকদের পছন্দ হলেই আমার চেষ্টা সার্থক।
পাঠকের মতামত