ডেস্ক রিপোর্ট::
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এতোদিন বোধোদয় হয়েছে। তবে এখনও পুরোপুরি বোধোদয় হয় নাই, সুযোগ পেলেই বিএনপিকে দোষারোপ করে বসেন। আমরা কিছুটা খুশি দেরিতে হলেও প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের দেখতে এবং ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে গেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন (আইইবি) মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের আয়োজনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দশম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার গতকাল সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার সরকারকে চাপ দেয়া উচিত। অথচ তারা একবারও রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার সরকার যে গণহত্যা চালাচ্ছেন তার জন্য নিন্দা জানাননি। তাই আমরা যারা রোহিঙ্গাদের উপর চালানো গণহত্যার নিন্দা জানায়নি তাদের প্রতি নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, বিএনপি নয় বরং আওয়ামী লীগ রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাজনীতি করতে চান বলেই এখন তারা প্রস্তাব দিচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আর বাংলাদেশের বিজিবি যৌথভাবে টহল দিয়ে অভিযান চালবে। কিন্তু কোথায় এবং কার বিরুদ্ধে এ অভিযান চালানো হবে? যাদেরকে হত্যা, ধর্ষণ করা হচ্ছে, যাদের শিশুদের মেরে ফেলা হচ্ছে, যেখানে গ্রামের পর গ্রাম আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে? সেখানে বিজিবি থাকবে?
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্তুজা করিম বাদরু, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, ঢাকা মহানগর যুবদল (উত্তর) সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, যুবদল (দক্ষিণ) সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন।
পাঠকের মতামত