পাহাড় কাটা বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় কক্সবাজারের ডিসি,এসপি,উখিয়ার ইউএনওসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি হলেও থেমে নেই অবৈধ পাহাড় কাটা ও বালি উত্তোলন। বিশেষ করে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনার পাড়া রেজু খাল পয়েন্ট থেকে কক্সবাজার জেলা ও উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে অবৈধ বালি উত্তোলন।
জানা যায়, দীর্ঘ এক মাস ধরে রেজু খাল পয়েন্ট থেকে বালি উত্তোলনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। কালা জমির ও আবুল কালামের নেতৃত্বাধীন উক্ত সিন্ডিকেট বালি উত্তোলনের জন্য রীতিমতো ক্রেন ব্যবহার করে বালি সংরক্ষণ করার জন্য বিরাট গর্ত করে। এজন্য তারা রেজু খাল পয়েন্ট থেকে অনেক দূরে ঝাউ বাগান মন গাইয়ার টেক পর্যন্ত ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বিশাল এলাকাজুড়ে পয়েন্ট তৈরি করে। বেশ কয়েকবার বালি উত্তোলনের জন্য তৈরী হলেও বারবার সময় পিছিয়ে দিচ্ছিল উক্ত সিন্ডিকেট। অবশেষে গত বুধবার থেকে পুরোদমে বালু উত্তোলন শুরু করে উক্ত সিন্ডিকেটটি।
পাহাড় কাটা বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় কক্সবাজারের ডিসি,এসপি,উখিয়ার ইউএনওসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি হলেও থেমে নেই অবৈধ পাহাড় কাটা ও বালি উত্তোলন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জমির আহমদ প্রকাশ কালা জমির বলেন, আমরা কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বৈধভাবে বালি উত্তোলন করছি। সাথে তিনি ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তার বিষয়টি অবগত থাকার কথা উল্লেখ করেন। যদিও তিনি বৈধ অনুমতিপত্র দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, শুধু আমরা এখানে কাজ করছি তা নয়, আমাদের সাথে উপরে অনেক বড় বড় মানুষ এটার সাথে জড়িত আছে।
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা তোসাদ্দেক হোসেন বালি উত্তোলনের বিষয়টি জানার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি বেশ কয়েকবার উক্ত স্থানে গিয়ে বালি উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু তারা বারবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নেওয়ার কথা বলে রাতের আঁধারে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন সজিব বলেন, আমি রেজু খাল পয়েন্ট থেকে বালি উত্তোলনের কথা শোনার পর লোক পাঠিয়ে তা বন্ধ করে দিয়েছি। তবুও যদি বালি উত্তোলন করে থাকে তা বন্ধ করাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।