প্রকাশিত: ০৯/১২/২০১৬ ৮:০৩ এএম

সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর চালানো অকথ্য নির্যাতনের বর্ননা দিলেন রোহিঙ্গা নারী মনোয়ারা। খবর বিবিসির।

পেটে সন্তান নিয়ে শেষ পর্যন্ত বসতভিটা ফেলে পালাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। ধরা পড়ার ভয়ে প্রসব-বেদনা নিয়ে দুইদিন জঙ্গলে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। মিয়ানমার থেকে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে অবশেষে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন টেকনাফে।

সন্তানসম্ভবা মনোয়ারার বাড়ি ছিল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে। মংডুর পোয়াখালি এলাকার চাককাটা গ্রামে স্বামী নুর মোহাম্মদকে নিয়ে তার সুখের সংসার ছিল। অনাগত সন্তানের সুখ-স্বপ্নে যখন বিভোর তখনই নেমে এল তার জীবনের সবচেয়ে কঠিনতম সময়।

পাশের গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে সেনারা এ খবর আগেই শুনেছিলেন তিনি। কিন্তু তার শরীরের যে অবস্থা তাতে আর কোথাও পালিয়ে যাওয়ার সামর্থ ছিলনা তার। এক পর্যায়ে মনোয়ারাদের গ্রামেও আক্রমণ হয়। তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে তার স্বামীকে ধরে নিয়ে যায়।

নভেম্বরের শেষ নাগাদ একদিন সকালে হঠাৎ তার বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। মিয়ানমারের চলমান সহিংসতা থেকে রেহাই পায় না মনোয়ারা এবং তার পরিবার।

এক দীর্ঘ পথ পারি দিয়ে, সাতদিন থেমে থেমে পায়ে হেটে এসে পৌঁছান নাফ নদীর ধারে। গভীর রাতে পার হন নদী। কিন্তু অন্য সবাই নদী পাড়ি দিয়ে চলে গেলেও তিনি যেতে পারেননি। কারণ ততক্ষণে তার প্রসব বেদনা শুরু হয়ে যায়।

একদিকে বিজিবি ধরে ফেলার ভয় অন্য দিকে প্রসববেদনা। চলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন তিনি। সেই অবস্থায় টেকনাফ সীমান্তে প্যারাবনে দুইদিন কাটান তিনি।

অচেতন মনোয়ারাকে জঙ্গল থেকে কারা যেন উদ্ধার করেন তা তার মনে নেই। বাংলাদেশে এসে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন মনোয়ারা। তিনি যে বেঁচে আছেন এটাই তার কাছে মাঝে মাঝে আশ্চর্যের মনে হয়।

পাঠকের মতামত

দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রাখাইন, নতুন আশ্রয়প্রার্থীর আশঙ্কায় বাংলাদেশ

নজিরবিহীন সংকটে পড়তে যাচ্ছে প্রতিবেশী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় উন্নতির সম্ভাবনা না থাকায় ...

আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিশাল সুযোগ’ পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

মিসরের বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড ...