কোটা সংস্কার আন্দোলন ও শেখ হাসিনার পদত্যাগ কেন্দ্র করে সারাদেশের মতো পর্যটকনগরীর পরিস্থিতিও ছিল থমথমে। ৬ আগস্টের পর থেকে পরিস্থিতি স্বভাবিক হলেও পর্যটক উপস্থিতি ছিল না। হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ক্ষত মুছে সীমিত পরিসরে খুলছে দোকানপাট, গতি ফিরছে ব্যবসা-বাণিজ্যে। এতে আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে সমুদ্র সৈকত।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে কক্সবাজারে ভিড় করতে দেখা গেছে ভ্রমণপিপাসুদের। তাদের পদচারণায় মুখর সাগর তীর। সমুদ্র সৈকতের হোটেল-মোটেল রিসোর্টে হয়েছে অগ্রিম বুকিং, এতে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
আজ সকালে সুগন্ধা পয়েন্টে দেখা যায়, সৈকতে ভিড় করছেন পর্যটকরা। কিছু দর্শনার্থী সমুদ্রপাড়ে অবস্থান করে ঢেউ উপভোগ করছেন। গতকাল রোববারও একই পরিমাণ লোকজন এখানে এসেছিলেন বলে দাবি করেছেন সৈকত এলাকার ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হাসেম শিকদার বলেন, গতকাল থেকে কক্সবাজারে ভিড় করেছেন ভ্রমণপিপাসুরা। এতে কক্সবাজারের প্রাণ ফিরেছে। অনেক হোটেল-মোটেল রিসোর্টে হয়েছে অগ্রিম বুকিং, এতে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা করছি। তবে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু থেকে এই পর্যন্ত আমাদের হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক রিফাত বলেন, এই মুহূর্তে অনেক হোটেলে অফার দেখে এসেছি। এখন সব কিছু দামও কম। খুব ভালো লাগছে। তবে স্বস্তির বিষয় হচ্ছে পুলিশ কাজে ফিরেছেন। তাই নিজেকে নিরাপদ মনে করছি।
সৈকতে দায়িত্বরত বিচকর্মী বেলাল উদ্দিন বলেন, পর্যটকরা কক্সবাজার আসতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে পর্যটকদের ভীড় দেখা যাচ্ছে। আশা করি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুজ্জামান বলেন, আমরা গতকাল থেকে থানার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু করেছি। পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা কাজ শুরু করেছি।