[caption id="attachment_90929" align="alignleft" width="790"] ফাইল ছবি[/caption]পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার পরীক্ষা ছাড়াই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে পরের ক্লাসে তোলা হচ্ছে। এবার যার যে রোল নম্বর আছে, সেই রোল নম্বর নিয়েই পরের শ্রেণিতে উঠেবে তারা। তবে চলতি বছরের প্রথম আড়াই মাসের ক্লাস এবং কোভিড-১৯ এর সময় যেসব শিক্ষা কার্যাক্রম চালানো হয়েছে, সেগুলোর ভিত্তিতে তাদের মূল্যায়ন করা হবে।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ১৬ মার্চ পর্যন্ত ক্লাস হয়েছে। সেই সময় তাদের ক্লাস টেস্ট নেওয়া হয়েছে, শিক্ষকরা পড়িয়েছেন, এখন সেসব মূল্যায়নে আনা হবে। প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বয়স বিবেচনা করে মাধ্যমিকের মতো অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
করোনাভাইরাস মহামারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির মধ্যে সংসদ টেলিভিশন, বেতার, কমিউনিটি রেডিও এবং জুম প্ল্যাটফর্মে যেসব শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হয়েছে, সেগুলোও মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া ছুটির মধ্যেও অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়া দিয়ে তা আদায় করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, সেসবও তারা মূল্যায়নে আনবেন।
এর বাইরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন, যার তথ্য-উপাত্ত শিক্ষকদের কাছে রয়েছে, সেসবও মূল্যায়নে আনা হবে। এসব বিষয় মূল্যায়ন করা হলেও তা পরের শ্রেণিতে ওঠার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না।
বাংলাদেশে করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। মহামারি পরিস্থিতির ততটা উন্নতি না হওয়ায় এবার পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপণী পরীক্ষা এবং স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা নিচ্ছে না সরকার।