ভালো-মন্দ বিষয়টা নির্ভর করে পরিবেশ পরিস্থিতির উপর। তবে মানুষ হিসেবে আপনি যাই হোন না কেনো প্রেমিকা হলে অনেক বিষয়ের দিকেই নজর দিতে হয়।
প্রেমিক সবসময়ই চায় প্রেমিকার সান্নিধ্য। তবে সেই সঙ্গ যদি দরদী না হয় তবে সম্পর্কে চলতে পারে দুর্যোগের ঘনঘটা।
প্রতিটা মানুষেরই আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট থাকে। আপনি যাকে ভালোবেসেছেন তার সম্পর্কে সব জেনেই নিশ্চই পদক্ষেপ নিয়েছেন। তারপরও কিছু বিষয় থেকে যায় যা পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের উপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে বেশ কয়েকটি বিষয় এখানে দেওয়া হল। যেগুলো মিলে গেল ধরে নিতে পারেন আপনি প্রেমিকা হিসেবে বেশ সহানুভূতিশীল।
* আপনি অনেক স্বতঃস্ফূর্ত। বেড়াতে যাওয়া, আনন্দ উৎসব করা অথবা যখন তখন কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলে আপনি নিজেই তাতে অংশগ্রহণ করেন। বলা যায় যে কোনো আনন্দ অনুষ্ঠানের জন্য আপনি স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকারী মানুষ।
তার মানে এই নয় যে আপনি শুধু আনন্দফুর্তি বা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেই পছন্দ করেন। প্রেমিক যদি একা সময় কাটাতে চায় অথবা কোনো টেলিভিশনের অনুষ্ঠান দেখতে চায় তাহলে আপনি তার সঙ্গেও মানিয়ে নিতে পারেন।
* সঙ্গীর খারাপ দিনে তার পাশে থাকুন। তার দুঃখ ভাগ করা ও তাকে মনের কথা বলে হালকা হওয়ার সুযোগ দিন, এতে সে বুঝতে পারবে যে আপনি তার জন্য ভাবেন
* সঙ্গীর গোপনীয়তা রক্ষা করুন। নয়ত এটা তার ব্যক্তিগত, চাকুরি অথবা অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে ঝুঁকির সৃষ্টি করতে পারে। সে আপনাকে বিশ্বাস করে তার গোপন কথা বলেছে সুতরাং তা নিজের কাছেই রাখুন।
* নিরাশায় ভোগা কেউ পছন্দ করে না। তাই আশাবাদী হোন, এটা একটা আকর্ষণীয় গুণ।
* নিজেকে সবসময় মধ্যমনি ভাববেন না। মনে রাখবেন আপনি ছাড়াও তার জীবনে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষ ও অংশ আছে।
* কাজের জন্য অনুতপ্ত হন। কোনো একটা বিষয়কে মনে ধরে রাখবেন না এবং সব সময় তাকে একই বিষয়ের জন্য অভিযোগ করবেন না।
* সব সময় আপনার সঙ্গীই বিল পরিশোধ করবে এমন মনোভাব সৃষ্টি হওয়া ঠিক নয়। আপনি নিজেও এতে অংশ গ্রহণ করুন।
ছবি: রয়টার্স।
পাঠকের মতামত