কক্সবাজারে চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বৃষ্টি দাশ নামের এক কলেজ ছাত্রী। বুধবার (২৯ নভেম্বর) শহরের ৯নং ওয়ার্ডের হরিজন পাড়ায় নিজ বাড়ি থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বৃষ্টি কক্সবাজার কমার্স কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। সে ওই এলাকার বাবু দাশের মেয়ে।
জানা গেছে, বৃষ্টির সাথে বাবু দাশ নামের এক তরুণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিক বাবু দাশ তাঁকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করে। সর্বশেষ বৃষ্টিকে মেসেঞ্জার ও ফেসবুকে ব্লক করে দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বাবু। যার ফলে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আত্মহত্যার পূর্বে বৃষ্টি একটি চিরকুট লিখে যায়।
যা লিখা ছিল চিরকুটে:
বাবু তুমি আমার সাথে যা করলে না, ভালো করলে না। তুমি আমার সাথে এমন করবে কোনদিন ভাবিনি। যাক বাবু! তুমি তোমার বন্ধুদের সাথে বাজি ধরেছো যে তুমি আমাকে নষ্ট করে দেখাবে। আমার মান সম্মান নিয়ে খেলবে! ঠিকই খেলেছ! আমার জীবন নিয়ে খেলে কী পেয়েছ বলো? আমি তোমার জন্য কিনা করি নাই, দিনশেষে তুমি আমাকে পৃথিবী থেকে বিদায় করে দিলে। আমাকে একবার বলতে পারতে। আর তুমি আমাকে বিয়ে করার আশা দিয়ে কত কিছুই না করলে, বলো বাবু? আমার সাথে ভালো করো নাই। যদি আমার মা বাবা বিচার না করে, আমার ভগবান বিচার করবে। আর আমার অভিশাপ তোমার গায়ে পড়বে। ভালো থেক আমার বাবু! বাবু আমার সাথে যা করেছে তা তার বন্ধুরা জানে। প্রথমে রনি! রনিকে ধরলে সব জানতে পারবেন, বাবু আমার সাথে কী করেছে।
আর মা-বাবা আপনারা আমাকে অনেক ভালোবাসেন। আমিও ভালোবাসি আপনাদের সবাইকে। সব মা-বাবা তো চাই যে তার মেয়েকে ভালো ছেলের সাথে বিয়ে দিতে। কিন্তু আমার শরীরের ভিতরে বাইরে কি হচ্ছে তা আমি জানি। আমাকে বিয়ে দিয়ে কোনদিন সুখ পেতে না। কারণ আমি জানি আমার শরীরে কী আছে কী নাই। যাক, ভালো থাকবেন, কেমন?
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, ‘বৃষ্টির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। চিরকুট দেখে ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত