এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরাও বলেন, প্রেমের বিয়ের চেয়ে পারিবারিক বিয়েই বেশি ভালো। কারণ দুজন মানুষ যখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তখন এটা শুধু তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সঙ্গে দুইটি পরিবারের সম্পর্কও জড়িত থাকে।
প্রেমের বিয়ের চেয়ে পারিবারিক বিয়ে ভালো যে কারণে:
❏ সামাজিক সামঞ্জস্যতা থাকে: যখন পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তখন দুই পরিবারের মানুষজন শুধু পাত্র বা পাত্রী দেখেন না। পুরো পরিবার এবং পারিবারিক সকল কিছু দেখেই বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। এতে করে দুই পরিবারের জীবনযাপনের মান, একইভাবে বেড়ে উঠা পারিবারিক জীবনচর্চা, পারিবারিক স্ট্যাটাস, মূল্যবোধ এবং সংস্কার ও সংস্কৃতির অনেক মিল থাকে। ফলে পাত্র-পাত্রী এবং দুটি পরিবারের একে অপরের সাথে মানিয়ে নিতে খুব বেশি কষ্ট হয় না। সম্পর্ক গভীর এবং দীর্ঘস্থায়ী হয় প্রেমের বিয়ের চাইতেও।
❏ পারস্পারিক শ্রদ্ধা ও সম্মান থাকে: যখন দুটি পরিবার মিলে একটি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তখন স্বাভাবিকভাবেই পাত্রপাত্রী একে অপরের প্রতি নিজেদের শ্রদ্ধা ও সম্মান বজায় রেখে চলার চেষ্টা করেন। কারণ এখানে শুধু দুজনের মান সম্মান নয় দুটি পরিবারের মান সম্মান জড়িত থাকে। অনেক প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রে সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখা গেলেও যখন পারিবারিক নানা অসামঞ্জস্য সামনে পড়ে তখন দুজনের মনোমালিন্য অনেকাংশেই দুজনের সম্পর্কে বিরূপ ধারণার জন্ম দেয় ও সম্পর্কে চির ধরতে থাকে।
❏ পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়: পরিবারের সম্মতি এবং পারিবারিকভাবে বিয়ে হলে পরিবারের সদস্যগণ খুব স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের নতুন সদস্যকে মেনে নেন এবং মানিয়ে নিতে সাহায্যও করেন। এতে সকলের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকে। প্রেমের বিয়েতে মেনে নিলেও সম্মতি দেয়ার পরও ঝামেলা কোনো না কোনোভাবে তৈরি হয়ে যেতে পারে। যদিও সকলে একই রকম ভাবেন না তারপরও কিছু সমস্যা থেকে যায়।
❏ পারস্পরিক সমঝোতা থাকে: প্রেমের বিয়েতে একে অপরের প্রতি অনেক সময় আশা ভরসা বেশি থাকে যা পূরণ না হলে অনেক সময় মান অভিমান পর্ব অনেকটা দূর গড়ায়।
অনেক সময় প্রেমিক-প্রেমিকা ভাবেন প্রেম করার পরও সে কেন তার সমস্যা বুঝতে পারছে না বা এখনো এতো ছাড় কেন দিতে হবে। আর এতেই সমস্যা শুরু হয়। তবে সবকিছুকে পেছনে রেখে এটুকু বলা যায়, বিয়ে দুটি পরিবারের মধ্যে বন্ধন তৈরি করে এবং বিয়ের সম্পর্কের সফলতা শুধু ভালোবাসা নয় পারস্পারিক সমঝোতা, মানিয়ে নেয়ার মনোভাব, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান। নবদম্পতির মধ্যে বোঝাপড়া ভালো হলে যেকোনো বিয়েই সুখ নিয়ে আসতে পারে জীবনে। দাম্পত্য জীবন হতে পারে আরও মধুময়।