পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক সবই ঘটেছে মালয়েশিয়ায়। হঠাৎ করেই বাংলাদেশে চলে আসেন প্রেমিক। প্রেমিককে খুঁজতে খুঁজতে ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছে যান ভিনদেশী প্রেমিকা। সঙ্গী শুধু একটি মোবাইল ফোন নম্বর। সেই সূত্র ধরে পুলিশও চেষ্টা করে প্রেমিককে খুঁজে বের করার। তবে পুলিশের অনুরোধেও সাড়া দেননি প্রেমিক। শেষ পর্যন্ত শূন্য হৃদয়েই ফিরতে হয়েছে মালয়েশীয় প্রেমিকা সালমা বিনতে মাতিশাকে। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহায়তায় গতকাল সোমবার রাত ১১টার একটি ফাইটে মালয়েশিয়ায় ফিরে গেছেন তিনি।
এর আগে রোববার রাতে মালয়েশিয়া থেকে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি ফাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান সালমা। এপিবিএন সূত্র জানায়, ইংরেজি বা বাংলা কোনো ভাষা বোঝেন না এই ভিনদেশী নারী। পরে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের এক কর্মীর সহায়তায় সালমা বাংলাদেশ পুলিশকে জানান, মালয়েশিয়ায় থাকতেন বাংলাদেশি তরুণ মনির হোসেন। সেখানেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মনির তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও মালয়েশিয়ায় ফেরেননি তিনি। এ জন্য সালমা বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন। মনিরের ঠিকানা জানেন না তিনি। শুধু একটি মোবাইল নম্বর ভরসা করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এরই মধ্যে মনিরের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয় সালমার। মনির তাকে জানান, দুজনের জন্য মালয়েশিয়ার ফিরতি টিকিট কেটে নিয়ে আসতে। সালমা ঢাকায় পৌঁছানোর পরদিন মনিরও তার সঙ্গে রওনা হবেন মালয়েশিয়ায়। সূত্র জানায়, মনিরের কথা অনুযায়ী গতকাল সকাল ৭টার দিকে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দুটি টিকিট কেনেন সালমা। কিন্তু ঢাকায় পৌঁছে আর মনিরের দেখা পাননি তিনি। তাকে রাত কাটাতে হয় বিমানবন্দরেই। টিকিট ছাড়া আর কোনো টাকাও ছিল না তার সঙ্গে। মনিরকে খুঁজতে খুঁজতে গতকাল সকালের ফাইটও মিস করেন তিনি। এমন সময় সালমার পাশে এসে দাঁড়ান এপিবিএন। রিজেন্ট এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে সালমার জন্য মালয়েশিয়ার ফিরতি টিকিটের ব্যবস্থা করে পুলিশ। বিমানবন্দরে কর্মরত এপিবিএনের এএসপি তানজিনা আক্তার আমাদের সময়কে বলেন, আমরা ওই নারীকে নিরাপদে তার দেশে ফিরিয়ে দিতে চেয়েছি। অবশেষে সেটি সম্ভব হয়েছে।