চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে বিস্তারিত জানাতে ভক্ত, সাংবাদিকদের কাছে সময় চাইলেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে একথা জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই তার বক্তব্য তুলে ধরবেন।
চিত্রনায়িকা অপুকে দুইদিন আগে শাকিব খানের পাঠানো তালাকের নোটিশের বিষয়টি সোমবার জানাজানি হয়।
স্ট্যাটাসে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বন্ধুগণ, আপনারা ২০০৫ সাল থেকে আজ অবধি আমার পাশে ছিলেন, আমার ভালো সময়/খারাপ সময়ে আপনাদের পাশে পেয়েছি। আমি আপনাদের কৃতজ্ঞ, আমি আপনাদের অনেক শ্রদ্ধা করি।’
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে আপনারা আমাকে পাচ্ছেন না বলে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আমাকে একটু সময় দিন, আমি ব্যাপার গুলো পর্যবেক্ষণ করছি। খুব শীঘ্রই আপনাদের সাথে যোগাযোগ করবো।’
অপু বিশ্বাস বলেন, ‘যারা আমার বক্তব্য না নিয়ে নিউজ করছেন তাদের প্রতি বিনিত অনুরোধ প্লিজ আমাকে একটু সময় দিন, খুব তাড়াতাড়ি আমি আপনাদের সামনে আমার বক্তব্য তুলে ধরবো।’
নানা নাটকীয়তার পর তালাকের নোটিশে নিশ্চিত হওয়া যায়; অবশেষে ভেঙেই যাচ্ছে বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই জুটির বিয়ের বন্ধন।
আইনজীবীর মাধ্যমে শাকিবের পাঠানো নোটিশে তালাকের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- অপু বিশ্বাস শাকিবের পছন্দের সীমার মধ্যে থাকেননি। সম্প্রতি তাদের সন্তানকে গৃহপরিচারিকার কাছে রেখে দেশের বাইরে যান অপু।
অবশ্য তালাকের নোটিশের বিষয়ে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস কারো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। শাকিবের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। এরই মধ্যে অপু বিশ্বাসের কোলজুড়ে আসে এক পুত্র সন্তান। বিয়ের দীর্ঘ আট বছর পর গত ১০ এপ্রিল বেসরকারি একটি টেলিভিশনে কথা বলতে এসে সেই পুত্রের পিতৃপরিচয় দেশবাসীর কাছে তুলে ধরেন অপু বিশ্বাস। এ সময় শাকিব খানকে স্ত্রী ও তার পুত্রকে মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান অপু।
এ নিয়ে গোটা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিলে শাকিব খান স্ত্রী অপু বিশ্বাস ও তার শিশু পুত্র আব্রামকে মেনে নেন। কিন্তু আট বছর আগে বিয়ের সম্পর্ক টেলিভিশনের মাধ্যমে জনসম্মুখে আসলে শাকিব-অপুর সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। দু’জনের দেখাদেখি পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে সেই সম্পর্ক ইতি ঘটতে যাচ্ছে আনুষ্ঠানিক ডিভোর্সের (তালাক) মাধ্যমে।
২০০৫ সালে আমজাদ হোসেনের ‘কাল সকালে’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন অপু। তিনি ২০০৬ সালে এফআই মানিক পরিচালিত ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবিতে প্রধান নায়িকা হয়ে অভিনয় করেন শাকিব খানের বিপরীতে। অপু বিশ্বাস ৭২টি ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে বেশির ভাগ ছবি ব্যবসা সফল।
পাঠকের মতামত