ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৯/০৬/২০২৪ ৭:০৬ পিএম

ঈদুল আজহা উদযাপনে অধিকাংশ মানুষ ঢাকা ছেড়ে যাওয়ায় রাজপথে নেই চিরচেনা যানজট। তবে ফাঁকা ঢাকার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে রয়েছে ভিড়। যান্ত্রিক নগরীর কোলাহল আর ব্যস্ততা থেকে ক্ষণিকের অবসরে পরিবারকে নির্মল আনন্দ দিতে অনেকে আসছেন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। পাশাপাশি সন্তানের ডিভাইস নির্ভরতা কমিয়ে মানসিক বিকাশের চেষ্টাও অনেক অভিভাবকের। ঢাকার বিনোদন কেন্দ্রগুলো ঘুরতে ‍সুদূর কক্সবাজার থেকেও এসেছেন অনেকে।

সরেজমিনে বুধবার দুপুর দুটা থেকে বিকাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটার ও শ্যামলীর শিশুমেলা ঘুরে এসব দৃশ্য দেখা গেছে। তবে বিমানবাহিনী জাদুঘর ও সামরিক জাদুঘরে উপচে পড়া ভিড় থাকলেও অনুমতি না দেওয়ায় তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি।

Nagad_Ad
মহাকাশের অজানা সব ঘটনা জানিয়ে বিজ্ঞান শিক্ষায় আগ্রহী করে তুলতে দুই মেয়েকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটারে এসেছেন কলেজ শিক্ষক জোহরা খানম।

তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এখানে অনেক সায়েন্টিফিক বিষয় আছে যা দেখে ব্রেইন ডেভেলপ (মস্তিষ্ক বিকশিত) হয়। বড় মেয়ে শাহতাজ আফনান প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। তাই তাকে নিয়ে এসেছি। এছাড়া এখন গরম পড়েছে। এখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জায়গা থাকায় খেলাধুলাও করতে পারে।’

গাজীপুর চন্দ্রা থেকে মো. সেলিম আল মামুন প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে রায়আন হোসেন সানিকে নিয়ে এসেছেন। শ্যামলীর শিশুমেলাসহ আরও কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে এখানে এসেছেন।

মো. সেলিম আল মামুন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘শিশুরা বিভিন্ন রাইডে উঠতে পেরেছে। সেটা এক ধরনের আনন্দ। এখানে সৌরজগৎ সম্পর্কে জানতে পেরেছে। আরও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে যাব।’

সৌরজগৎ সম্পর্কে বইয়ে পড়া অনেক কিছু বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটারে এসে মেলাতে পেরে খুশি প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া রায়আন হোসেন সানি।

রায়আন হোসেন সানি ঢাকা টাইমসকে বললো, ‘বইয়ের সঙ্গে অনেক মিল আছে। মহাকাশ নিয়ে অনেক কিছু শিখেছি। অনেক ভালো লেগেছে।’

সৌরজগৎ সম্পর্কে নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি দুই মেয়েকে এই জগতের সঙ্গে পরিচয় করাতে বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটারে এসেছেন মেহেরীন ইসলাম।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মেহেরীন ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘সৌরজগৎ সম্পর্কে যতই জানি সেটা কম। গতবার ঈদে মেয়ে এসেছিল এখানে। সে সৌরজগৎ সম্পর্কে এত চমৎকার বর্ণনা দিলো যে আমারও আসার ইচ্ছে হলো।’

টুম্পা ধর ঈদের এই ফাঁকা ঢাকায় ঘুরতে পছন্দ করেন। তাই কক্সবাজার থেকে এসেছেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে নভো থিয়েটারে এসেছেন।

এই নারী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘রবিবার কক্সবাজার থেকে এসেছি। রমনা পার্ক, রমনা মন্দিরে গেছি। আজ এখানে এসেও ভালো লাগছে। সন্তানরা আনন্দ পাচ্ছে এটাতেই খুশি।’

মিরপুরের বাসিন্দা হলেও মেট্রোরেল খুব দ্রুত বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছানোর সুযোগ করে দেওয়ায় পরিবারকে নিয়ে নভো থিয়েটারে এসেছেন মো. শাহরিয়ার। এছাড়া সন্তানদের ডিভাইস নির্ভরতা কমাতে এই বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বেড়াতে নিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

মো. শাহরিয়ার ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘সবসময় আমার সন্তান টিভি আর ফোনে কার্টুন দেখতে চায়। যে কারণে বাইরের খোলামেলা পরিবেশে নিয়ে এসেছি। চেষ্টা করছি যাতে ডিভাইস থেকে একটু দূরে থাকে এবং জায়গাটা ভালো লাগে। এখানে অ্যাডভান্স লেভেলে অনেক কিছুই আছে যা দেখে সন্তানেরা জানতে পারে। তাই মিরপুর থেকে এসেছি। এখন মেট্রোরেল হওয়ায় সুবিধা অনেক। দ্রুত সময়ের মধ্যে চলে আসা যায়।’

শ্যামলীতে ওয়ান্ডারল্যান্ড পরিচালিত ডিএনসিসির পার্ক যা শিশুমেলা নামে অধিক পরিচিত। বাড্ডা থেকে সারিকা হুমায়ুন দুই মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। ঈদের দুই দিন ব্যস্ত থাকায় আজ সময় পেলেন।

সারিকা হুমায়ুন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘কোরবানির অনেক ব্যস্ততা ছিল। এছাড়া অন্যসময় যানজটের মধ্যে ছোট বেবিটা কোলে নিয়ে বেড়ানো কষ্ট। তাই এখন এসেছি। এখানে পরিবেশ ভালো। অনেক রাইডে উঠেছে। রাইডের দামগুলোও রিজেনেবল (সুলভ মূল্যের)।’

এখানে আরও বসার জায়গা এবং সবুজায়ন প্রয়োজন বলে মনে করেন রাজধানীর গুলশানের ব্যবসায়ী জাকির সৈকত।

জাকির সৈকত ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ঢাকায় অন্য জায়গাগুলোতে ঘুরেছি। প্রথমবারের মতো এখানে এসে ভালো লাগলো। কিন্তু বসার স্পেস (জায়গা) খুবই কম। আরও বড় গাছ এবং ফুল গাছ থাকলে ভালো লাগতো। সবুজ তেমন একটা নেই। থাকলে ভালো লাগতো।

পাঠকের মতামত

হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের আবেগের বিরুদ্ধে গেছে ভারত: সারজিস

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত পুরো বাংলাদেশের মানুষের আবেগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলে ...

সাতকানিয়ায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ গেল উখিয়ার কিশোরের

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কেরানিহাট-বান্দরবান মহাসড়ক পার হওয়ার সময় সিএনজিচালিত অটোরিক্সার ধাক্কায় চলন্ত বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ...