নেছার আহমদ:
‘পলাশ ফুটেছে, শিমুল ফুটেছে, এসেছে দারুন মাস, আমি জেনে গেছি তুমি আসবে না ফিরে, মিটবে না পিয়াস …।’ জনপ্রিয় শিল্পী তপন চৌধুরীর এ গানের কথায় পিয়াস না মিটলেও মেরিন ড্রাইভের দু পাশে গাছে গাছে পলাশ, শিমুল সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ও পাখির কলতানে প্রকৃতির পিয়াস মিটছে পর্যটকদের।
পাহাড় আর সাগরের কোল ঘেঁষে বানানো কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের দুই পাশ ফাগুনের অপরূপ সাজে সেজেছে। শোভা পাচ্ছে নানা রঙের বাহারী ফুলে। গাছে গাছে রং ছড়াচ্ছে পলাশ ও শিমুল ফুলে। আমের মুকুল ও বাহারি নানা ফুল শোভা বাড়িয়েছে বহুগুন। গাছে গাছে পাখির কলতান আর মৌমাছির গুঞ্জণ সৃষ্টি করেছে ভিন্ন পরিবেশ। প্রকৃতির এমন রূপ দেখতে ছুটে আসছেন পর্যটকরা।
শীত শেষে ফাল্গুনে প্রকৃতি সেজেছে নিজের মতো করে। পর্যটকে মুখরিত দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত সহ মেরিন ড্রাইভ সড়ক। মেরিন ড্রাইভের পাশে ঢেউ গর্জন করে আছড়ে পড়ছে শূন্য বালিয়াড়িতে। আর মেরিন ড্রাইভ সড়কে প্রকৃতি সেজেছে নিজের মতো করে। একপাশে সবুজের সমারোহ নিয়ে উঁচু পাহাড়, আরেক পাশে সমুদ্র। দুই পাশের সারি সারি পলাশ ও শিমুল গাছে ফুটেছে বাহারি রঙের ফুল। মাঝে মাঝে আমের মুকুল ও নানা রঙের ফুল শোভা বাড়িয়েছে বহু গুণ। গাছে গাছে পাখির কলতান আর মৌমাছির গুঞ্জণ সৃষ্টি করেছে ভিন্ন পরিবেশ। প্রকৃতির এমন রূপ দেখতে ছুটে আসছেন পর্যটকরা।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক বুয়েট প্রকৌশলী মাসুম আল রহিম জানান-‘ মেরিন ড্রাইভ সড়কটি এমনিতেই সুন্দর। তবে আগে ফুলে ফুলে শুশোভিত এমন দৃশ্য দেখিনি। দু পাশের যেভাবে গাছে গাছে পলাশ, শিমুল সহ হরেক রকম ফুল ফুটেছে তা সড়কের দর্শন বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছে। ফুলে ফুলে শুশোভিত গাছে গাছে পাখির কলতান দেখে আমরা বিমোহিত।’
ঢাকার গুলশান থেকে আসা পর্যটক মুনা মারজিয়া জানান-‘ দুই বছর পুর্বে এমনটা ছিলনা। সড়কের দু পাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য অপরুপ লেগেছে। গাছে গাছে পলাশ, শিমুল সহ হরেক রকম ফুল ফুটেছে। করোনা পরবর্তি বেড়াতে এসে এমন দৃশ্য আমাদের পরিপুর্ণ আনন্দ দিয়েছে।’
কক্সবাজার দক্ষিন বন বিভাগের বিভাগিয় বন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান-‘ কক্সবাজার দক্ষিন বনবিভাগ এ সড়কে ২০১২-১৩ অর্থবছরে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ১০ হাজার চারা রোপন করে। পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচুড়া, রাধাচুড়া সহ বিভিন্ন প্রজাতির এসব গাছে ফুল ফুটে সড়কটি ফুলে ফুলে শুশোভিত হয়েছে। এসব গাছে পাখির কলতান আর মৌমাছির গুঞ্জণ সৃষ্টি করেছে ভিন্ন পরিবেশ। প্রকৃতির এমন রূপ দেখে আনন্দিত পর্যটকরা।’
তিনি জানান, এর ধারাহিকতায় মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়িতে একটি ক্যাকটাস হাউজ, একটি অর্কিট হাউজ ও আরো ৩ হাজার শুভাবর্ধনকারী চারা রোপনের কর্মসুচী হাতে নেয়া হয়েছে।
এদিকে চলতি অর্থ বছরে ৮০ কিলোমিটার এই সড়কে আরো ১০ হাজার চার রোপন করেছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। যা প্রকৃতির এই সৌন্দর্য্য আরো বৃদ্ধি পেয়ে বিমোহিত করবে পর্যটকদের এমনটাই প্রত্যাশা সবার।