বিদায়ি বছর ২০২৩ সালজুড়ে আলোচনায় ছিল কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ডুবন্ত ট্রলারে ১০ জনের লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি। ঘটনার ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও তদন্ত শেষ করতে পারেনি পুলিশ। ২৩ এপ্রিল সাগরে ভেসে থাকা ট্রলার নাজিরারটেক উপকূলে টেনে আনেন জেলেরা। সেখান থেকে ১০ জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। নিহতদের মধ্যে ট্রলারের মালিক সামশুল আলম ওরফে সামশু মাঝিও রয়েছেন। তিনি মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলাপাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে। নিহত অন্যরা হলেন-শাপলাপুর ইউনিয়নের মিটাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম, জাফর আলমের ছেলে সওকত উল্লাহ, মুসা আলীর ছেলে ওসমান গনি, সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ, মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ, মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবির, চকরিয়ার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম, শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান ও পৌরসভার চিরিঙ্গা এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে তারেক জিয়া। এ ঘটনায় সামশুর স্ত্রী কক্সবাজার সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশের দাবি, ওই ঘটনায় গ্রেফতার ৯ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ৭ জনের জবানবন্দি পর্যালোচনা করে ঘটনা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন তারা। মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলেও দাবি পুলিশের। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিহতরা সবাই ডাকাত দলের সহস্য। মূলত ট্রলার ডাকাতি করতে গিয়ে জেলেদের হাতে নিহত হয়েছেন ওই ১০ জন। পরে ট্রলারসহ তাদের ডুবিয়ে দেওয়া হয়। ট্রলারে ১০ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন আলোচিত জলদস্যু খাইরুল বশর সুমন। ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে থাকা সুমনকে ৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতারের পরদিন রিমান্ডে নেয় পুলিশ। পুরো ঘটনার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড বলা হচ্ছে এই সুমনকে। কক্সবাজার সদরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন নিহতের ট্রালার ডাকাতি করতে পাঠিয়েছিলেন তিনি। তন্তকারী কর্মকর্তা দুর্জয় বিশ্বাস বলেন, জবানবন্দিতে সুমন বারবার বলেছে-আমি ডাকাতি করতে পাঠিয়েছিলাম, তাদের মারতে পাঠাই নাই। তারা মেরেছে এ দায় আমার না। সুত্র: যুগান্তর
কর্মজীবীরাই একটি প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। পর্যটন জোনের তারকা হোটেল গুলোর সুনাম এখানকার বিভিন্ন বিভাগে কাজ করা ...
পাঠকের মতামত