ফিলিস্তিনের সমস্যা সমাধানে লক্ষ্যে দুই পবিত্র মসজিদের প্রধান ইমাম ড. শায়খ আব্দুর রহমান সুদাইসি বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দকে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পবিত্র কাবা শরিফের জুমআর নামাজের খোতবায় এ আহ্বান জানান তিনি। খবর ওয়াফা নিউজ এজন্সি।
ড. সুদাইসি বলেন, ‘মুসলমানদের প্রথম কেবলা মসজিদ আল আকসা ও ফিলিস্তিনের চলমান সংকট নিরসনই মুসলমানদের একমাত্র ইস্যু। ইসলামি ভ্রাতৃত্বের দাবিতেই মুসলমানদের সব বিষয়ের প্রতি সবার গুরুত্ব দেয়া জরুরি। ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক দিক থেকে মসজিদে আকসা ও ফিলিস্তিনি মুসলমদের সংকটজন অবস্থার সমাধানই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তীর্থ ভূমি সৌদি আরব প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকেই ফিলিস্তিন এবং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে। ফিলিস্তিনে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্যও কাজ করছে সৌদি সরকার। সৌদি জনগণের হৃদয়ে ফিলিস্তিনের জন্য সবসময় ভালোবাসা বিদ্যমান বলেও জানান ড. সুদাইসি।
তিনি তার বক্তব্যে বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বরেন, ‘পবিত্র নগরী জেরুসালেমের বিষয়টি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ এবং যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের হৃদয়কেও ব্যথিত করে। গোটা মুসলিমবিশ্বও ফিলিস্তিন, জেরুসালেম এবং আল-আকসা সংকটে হৃদয়ে ব্যথা অনুভব করে।
খুতবায় ড. সুদাইসি আরও বলেন, ‘সৌদি সরকার ওআইসি ভুক্ত দেশসমূহের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদেরকে খুব শিগগির বৈঠকে বসার যে আহবান জানিয়েছে, এর মাধ্যমে জাতিগত ঐক্যের প্রতি সৌদির গভীর আগ্রহ প্রকাশ পায়। সৌদি সরকারের এ আহ্বানের মাধ্যমেই ভ্রাতৃত্ব ও ইসলামি সংহতি ও ঐক্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করে।
এদিকে ইসরাইলের জায়নিস্ট কারাগারে পরজীবী কার্সিনোজেন স্থাপনের প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের হামাস কারা প্রশাসনের প্রধান মোহাম্মাদ আরবান, তার উপদেষ্টা উসমান বিলাল, আব্বাস সাইয়্যেদ, আশরাফ আযগির, মিয়মার আশ-শেইখ এবং আহমেদ কাদরেহসহ মোট ২৮ জন ফিলিস্তিনি বন্দি অনশন ধর্মঘট শুরু করেছে করেছে।
বন্দিরা ঘোষণা করেছে তাদের এই অনশন কর্মসূচি আরও তীব্র হবে এবং শিগগিরই তাদের সাথে আরও ১২০ জন বন্দি যোগ দেবে।