হ্যামলেট নাটকে শেকসপিয়র লিখেছিলেন, ‘আকাশ আর মাটির মাঝে আরো কিছু সৃষ্টি হয়েছে, যা আমরা স্বপ্নেও ভাবি না।’ আধিভৌতিক বা অবৈজ্ঞানিক কিছুর ব্যাখ্যায় শেকসপিয়র হ্যামলেটের বয়ানে হোরাশিওকে এই বার্তাটি দিয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। আজও তাই পৃথিবীতে বিজ্ঞানের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ কিছুর ব্যাখ্যায় শেকসপিয়রের এই দুটি লাইনের শরণাপন্ন হওয়া।
সম্প্রতি থাইল্যান্ডের এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর গনগনে আগুনের আঁচে বসানো চুলার ওপর ফুটন্ত তেলভর্তি পাত্রের ভেতরে ধ্যান করার ছবি এবং ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর ওই আলোচনা আবার সামনে এসেছে।
থাইল্যান্ডের ব্যাংকক পোস্ট আর যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইলে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে মুখে যন্ত্রণার তিলমাত্র নেই। বরং ছড়িয়ে আছে প্রশান্তি। ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে সন্ন্যাসী এক মনে ধ্যান করছেন ফুটন্ত তেলভর্তি পাত্রে। আর পাত্রটা চুলার গনগনে আঁচে বসানো!
ব্যাংকক পোস্ট জানায়, থাইল্যান্ডের নোং বুয়া লাম্ফু এলাকার এক বৌদ্ধ মঠে থাকেন ওই সন্ন্যাসী। প্রকাশিত ভিডিও ক্লিপে ‘আশ্চর্য’ ওই সন্ন্যাসীকে দেখা গেলেও তাঁর পরিচয় প্রকাশ করেনি সংবাদমাধ্যমগুলো।
ভিডিওতে আরো দেখা গেছে, ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসীকে ঘিরে আছেন ভক্তরা। কেউ কেউ এগিয়ে আসছেন তাঁর স্পর্শ নিতে। এ ছাড়া আরেকজন সন্ন্যাসীর ফুটন্ত তেলে বসে ধ্যান করার দৃশ্যও আছে ভিডিওটিতে।
এদিকে ভক্তদের বরাত দিয়ে ব্যাংকক পোস্ট জানায়, তেল ঢালার আগে পাত্রে কিছু লতাপাতা ঔষধি দেওয়া হয়েছে। তাতেই ফুটন্ত তেলের উত্তাপ অনেকটা কমে গেছে।
কিন্তু অত সহজে ভোলেনটি যুক্তিবাদীরা। তাঁদের বক্তব্য, ওই কড়াইয়ের তেল সত্যি ফুটন্ত কি না তা ভিডিও ক্লিপ দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। এ ছাড়া এমনও হতে পারে‚ আসল কলকাঠি লুকিয়ে আছে ওই কড়াইয়ে। হয়তো ওই পাত্রে দুটো স্তর আছে। যার ফলে উত্তাপ সন্ন্যাসী অবধি এসে পৌঁছাচ্ছে না।
তবে শুধু এই ভিডিওটি দিয়ে যুক্তিবাদীরা কিছু প্রমাণ করতে পারেননি। তাই আপাতত তর্ক আর বিশ্বাসের মাঝে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রমরমিয়ে ঘুরছে সন্ন্যাসীর ফুটন্ত তেলে ধ্যানের ভিডিও ক্লিপ।
পাঠকের মতামত