কুষ্টিয়ার মিরপুরে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সিগারেটের ছেঁকা আর ফুটন্ত তেলের ছিটায় অসহনীয় যন্ত্রনায় হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন টুম্পা শীল নামে ওই গৃহবধূ।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য সুজন কুমার শীল কুষ্টিয়ার মিরপুর থানায় কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ পাওয়ার পর থানা থেকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলারও প্রস্তুতি চলছে।
সুজন কুমার শীলের গ্রামের বাড়ি পাবনার সাথিয়া উপজেলার ধুলাউড়া গ্রামে। আর তার স্ত্রী টুম্পা শীলের বাড়ি একই জেলার রাধানগর এলাকায়।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী টুম্পা শীলকে কয়েক দফা সিগারেটের ছেঁকা দেন সুজন কুমার শীল। পরদিন শুক্রবার ফুটন্ত তেলে ঝলসে দেয়া হয় তার শরীর। এতে টুম্পার ডান হাত ও পায়ের কিছু অংশ ঝলসে যায়। পরে সন্ধ্যায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধু টুম্পা শীল কাতরাতে কাতরাতে বলেন, ‘আমি আর পারছি না, আমার স্বামীর এমন নির্মমতার বিচার চাই। সে যেন কোনো প্রকার ছাড় না পায়।’
নির্যাতিতার ভগ্নিপতি কাজল কুমার শীল অভিযোগ করে বলেন, মাঝে মধ্যেই কনস্টেবল সুজন কুমার শীল টুম্পার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। যৌতুকের কারনেই এমন নির্যাতন বলে জানান তিনি।
মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) রকিবুল হক জানান, গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আগুনে পোড়ানোর চিহ্ন রয়েছে। তবে তার অবস্থা উন্নতির দিকে।
মিরপুর থানার ওসি কাজী জালাল উদ্দিন জানান, পুলিশ কনস্টেবল সুজন কুমার শীলকে এরই মধ্যে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।সুত্র: যুগান্তর
পাঠকের মতামত