দুই দেশের দূতাবাসের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে এবার ৮৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের ফেরার কথা।
আর সংঘাতের জেরে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্য ও সেনাসদস্য মিলিয়ে ১২০ জন ফিরবে একইদিন।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য জানিয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. সালাহউদ্দিন বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইনে সিত্তে বন্দর থেকে শনিবার ৮৫ জন বাংলাদেশি দেশের উদ্দেশে রওনা দেবে। রোববার সকালে তারা কক্সবাজার শহরে নুনিয়ারছড়া ঘাটে পৌঁছাবে।
জেলা প্রশাসক জানান, আগের তিনবারের মতো এবারও একইভাবে দু’দেশের নাগরিককে প্রত্যাবাসন করা হবে। ৮৫ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে আসা মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল রোববার দুপুরের মধ্যে ১২০ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য ফেরত নিয়ে যাবে। পুরো প্রক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. রাহাত বিন কুতুব উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে, মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজ ইউএমএস চিন ডুইন এরই মধ্যে ৮৫ বাংলাদেশিকে নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারে বাংলাদেশি দূতাবাস।
তারা বলেছে, প্রত্যাগত ৮৫ জন বাংলাদেশির মধ্যে ২৬ জন মিয়ানমারের মলামাইন কারাগার, ১৬ জন পাথেইন কারাগার, ৩ জন চকমারউ কারাগার আর বাকিরা রাখাইনের বিভিন্ন কারাগারে ছিলেন।
কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী ও ঢাকা জেলায় তাদের বাড়ি।
এর আগে গত ৯ জুন ৪৫ বাংলাদেশি কারাভোগ শেষে দেশে ফেরে। সেদিন মিয়ানমারে ফেরত যায় ১৩৪ বিজিপি ও সেনা সদস্য।
তার আগে ২৫ এপ্রিল মিয়ানমার থেকে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছিল ১৭৩ জন বাংলাদেশি। একই সঙ্গে ওইদিন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জন বিজিপি ও সেনাসদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৩৩০ জন বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর মধ্য দিয়ে প্রথম শুরু হয় এ বছরের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া।