উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরার’ ধকল কাটতে না কাটতেই বঙ্গোপসাগরে আবার নতুন করে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ ও দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূলের অদূরে পশ্চিম মধ্য-বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, এটি আরও ঘনীভূত হয়ে মৌসুমী নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
উল্লেখ্য গতমাসের শেষদিকে হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোরার তাণ্ডবে উপকূলীয় জেলাগুলোর বিস্তীর্ণ এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়ায় ঘরবাড়ি গাছ পালা বিধ্বস্ত হয়ে চার জেলায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
নতুন সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে নগরীতে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটায় ভারী বর্ষণে অনেক রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় ইফতারের আগ মুহূর্তে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রধান-প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে ছোটখাট সব রাস্তা যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে। মূলত বিকাল ৪টা থেকেই বিশেষ-বিশেষ স্থানে কখনো হালকা-কখনো দীর্ঘ যানজট শুরু হয়। ইফতারের আগ মুহূর্তে সবাই বাসা-বাড়িতে ফিরতে শুরশু করায় যানজট মারাত্মক আকারে রূপ নেয়।
এ সময় ভারী বর্ষণও শুরু হয়। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে অনেক রাস্তায় পানি জমে যায়। এসময় ব্যস্ততম রাস্তাগুলোতে ফ্লাইওভারের কাজ এবং ওয়াসার পাইপ লাইনের কাজ চলার কারণে কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। এই সময়টাতে যানজটে আটকা পড়ে ইফতারের জন্য ঘরমুখো লোকজনকে বেশি বেগ পেতে হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহওয়া অফিসের এক পূর্বাভাস কর্মকর্তা জানান, লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
পাঠকের মতামত