প্রায় নয় বছরের বেশি সময় পর সামাজিক যোগাযোগের মূল অ্যাপে মেসেঞ্জার ফিরিয়ে আনছে মেটা মালিকানাধীন ফেসবুক। প্রায় এক দশক আগে ২০১৪ সালে ফেসবুক থেকে মেসেজিং কার্যক্রম সরিয়ে নেয় ফেসবুক। এর কারণে অনেক ব্যবহারকারী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এরপর থেকে মেসেঞ্জার ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীদের আলাদা করে আরেকটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হচ্ছে। খবর টেকটাইমস।
ফেসবুকের প্রধান টম অ্যালিসন জানান, ফেসবুকের মূল অ্যাপে মেসেজিং ফিচার পুনরায় চালুর পরীক্ষা চালাচ্ছে কোম্পানিটি। এর ফলে ব্যবহারকারীরা আলাদা মেসেজিং অ্যাপ চালু করা ছাড়াই সহজে যেকোনো কনটেন্ট শেয়ার করতে পারবে। সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিকটকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্যই ফেসবুক মূলত নতুন এ উদ্যোগ নিয়েছে। এ সুবিধা চালুর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের নতুন কনটেন্ট খুঁজে পাওয়ার পাশাপাশি শেয়ার করার সুবিধাও দেবে।
এক সাক্ষাৎকারে অ্যালিসন বলেন, ‘কোনো কনটেন্ট একা দেখার পরিবর্তে ব্যবহারকারীরা যেন বন্ধুদের সঙ্গে সেটি শেয়ার করতে পারে সেটি আমরা বিশ্বাস করি। এমনকি একই মতাদর্শের গ্রুপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কনটেন্ট ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো কনটেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে বন্ধু বা গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করার যে সুবিধা তা টিকটক থেকে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করবে।’
শর্ট ভিডিও শেয়ার করার দিক থেকে টিকটকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে রিলস চালু করেছে। প্লাটফর্মে পাওয়া যেকোনো ভিডিও একে অন্যকে পাঠানোর জন্য টিকটকে সরাসরি মেসেজ পাঠানোর সুবিধা রয়েছে। আর এটিই প্লাটফর্মটিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। তবে অ্যালিসনের দাবি, তাদের প্লাটফর্মের কারণে টিকটকে ব্যবহারকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে।
ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকে কনটেন্ট আপলোড করা হলেও কিছু নির্মাতা ফেসবুককে তাদের ফ্যান কমিউনিটি বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করে থাকে। পাশাপাশি প্লাটফর্মের বাইরের আলোচনাও এখানে হয়ে থাকে। অ্যালিসন জানান, এ ফিচারটি ফেসবুকের ফলোয়ারদের প্লাটফর্মে যুক্ত করার জন্য সহায়তা করে থাকে। এর আগে গত বছর ফেসবুকের কৌশলগত কার্যক্রমে পরিবর্তন এসেছে। গ্রাহকসংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। এটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরির বাইরে প্লাটফর্মের পরিধি বাড়াবে। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ সামাজিক যোগাযোগের এ মাধ্যমটিকে ডিসকভারি বা খুঁজে পাওয়ার ইঞ্জিনে পরিণত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।