দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ডেকে নিয়ে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তারের পর গতকাল বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার মাহাফুজ ওরফে মাহাবুব (২৫) পার্বতীপুরের বালুপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে।
সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনে আলাপের সূত্রে বীরগঞ্জের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মাহাবুবের। নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদন কেন্দ্র ‘স্বপ্নপুরী’তে বেড়ানোর কথা বলে গত মঙ্গলবার ওই ছাত্রীকে ডেকে আনেন এক সন্তানের বাবা মাহাবুব। পরে তিনি বিনোদন কেন্দ্রের ভেতরে ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পাশের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মাহাবুব। এ সময় হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা তাঁকে আটক করে পুলিশে দেন। ধর্ষণের ঘটনায় ওই দিন রাতেই নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করে নির্যাতিত ছাত্রী। নবাবগঞ্জ থানার পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন জানান, ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছাত্রী সুস্থ হলে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে। নবাবগঞ্জ থানার আফতাবগঞ্জ পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, স্বপ্নপুরীর চিড়িয়াখানার কাছে ঝর্ণার ধারে নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে।
কালীগঞ্জে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
এদিকে সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, কালীগঞ্জ উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে আব্দুস সামাদ ঢালী নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার ভোরে উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের আবুল খায়ের ঢালীর ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার রাতে ওই ছাত্রী বাড়ির পাশে টয়লেটে যাচ্ছিল। এ সময় সামাদ ঢালী তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সামাদ পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পরের দিন সকালে মেয়েটির মা কালীগঞ্জ থানায় মামালা করেন।