“রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে প্রিয়ার কাল চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে কিন্তু বই সেতো অনন্ত যৌবণা” বলেছিলেন মহাকবি ওমর খৈয়ম। আধুনিক শিক্ষা ধারণার প্রবর্তক জন মেকলে বলেন ” প্রচুর বই নিয়ে গরীব হয়ে চিলেকোঠায় বসবাস করব তবু এমন রাজা হতে চাই না যে বই পড়তে ভালবাসে না। এ ভাবেই বিভিন্ন মণীষীগণ বই পড়াকে উৎসাহিত করেছেন। এ কথা অনিস্বকার্য যে বই জ্ঞান অরজনের সরবোৎকৃষ্ট মাধ্যম। যুগ যুগান্তরের সেতুবন্ধন বই, হাজারো আনন্দ ও বেদনার দন্ডায়মান মূরতি বই, জ্ঞান বিজ্ঞানের ধারক ও বাহক বই। পরিতাপের বিষয় জ্ঞান অরজনের এই মূখ্য মাধ্যমটি বরতমান প্রজন্ম সেই সাথে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছেও গৌণ হয়ে যাচ্ছে।কিছু শিক্ষারথীদের দেখলে মনে হয় তাদের লেখাপড়া শুধু মাত্র পরীক্ষায় পাসের উদ্দেশ্যে জ্ঞান অরজনের জন্য নয়।
সিলেবাসের বাইরে পা দেয়া যেন মহা পাপ।অল্পতেই তারা তুষ্ট।জ্ঞান সমুদ্রে অবগাহন করা তো দুরের কথা,বেলাভূমিতে নুড়ি পাথর কুড়াতে ও তারা অাগ্রহী নয়।
যুগের অাবরতে মানুষের ধ্যান ধারনা ও রুচিবোধের যেমন পরিবর্তর হচ্ছে তেমনি সেই পরিবর্তনের হাওয়ায় পাল তুলে দিচ্ছে নানা অনুসঙ্গ।যার মধ্যে অন্যতম তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতির ফসল সামাজিক যোগাযোগ মধ্যম।যেমন:ফেসবুক,হোয়াইস অ্যাপ,টুইটার,লিংকডইন,গুগল+,
এ সমস্ত যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি অামরা অনেকে এতটাই অাসক্ত হয়েছি যে,বই পড়া ভারী মজা,এই শব্দটা অামাদের অভিধান থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।কিছু দিন অাগে সংবাদ পত্রে দেখলাম জনৈক ব্যক্তি ইন্টারনেটের প্রতি এতটাই অাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন যে,নিজেকে কিছুই সামলাতে পারছিলেন না।তাই বাধ্য হয়ে নিজের হাতের অাঙ্গুল কেটে ফেলেন।
যুগের পরিবর্তনের হাওয়ায় আপনি তাল মিলিয়ে চলবেন এটা স্বাভাবিক তবে কিছুই যেন আসক্তির পর্যায়ে না যায়। বই না পড়ার প্রবণতাটা বড়দের পাশাপাশি ছোটদের মাঝেও আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। তাই ভবিষ্যৎ পŸজন্মের কাছে আমরা ফেসবুক নয় প্রকৃত বই তুলে দিতে বদ্ধপরিকর হই। যাতে বই পড়ে সে নিজেকে আবিষ্কার করতে পারে, বুঝতে পারেহ জ্ঞান অর্জনের মুখ্য মাধ্যম বই, নিজেকে আলোকিত করার মাধ্যম বই।
শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ
ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা।
পাঠকের মতামত