আবদুল্লাহ আল আজিজ
প্রকাশিত: ২১/০৮/২০২৪ ৪:০৭ পিএম

এম.এ আজিজ রাসেল, কক্সবাজার::

কক্সবাজারের সাবেক এমপি ‘ইয়াবা ডন’ আবদুর রহমান বদিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে ধরতে মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে অভিযান চালায় র‍্যাব। পরে টেকনাফের একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বদি কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি। তার গ্রেপ্তারের খবরে আনন্দের বন্যা বইছে উখিয়া টেকনাফে। ঘরে ঘরে চলছে মিষ্টি বিতরণ।

কক্সবাজারের টেকনাফের ইয়াবা সাম্রাজ্য দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রণে বদি ও তার পরিবারের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় মাদকের সংশ্লিষ্টতায় বদি ও তার ভাইদের নাম ছিল। বদির ইয়াবা সিন্ডিকেটেরে সদস্যরা হলেন- তার ভাই মো. আবদুল শুক্কুর, মজিবুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, সৎ ভাই আবদুল আমিন ও ফয়সাল রহমান।

২০০২ সালে টেকনাফ পৌরসভার থেকে মেয়র নির্বাচিত হন বদি। পরে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি হন। এরপর হয়ে ওঠেন বেপরোয়া। মাদকের কারণে দুইবার পাননি দলীয় মনোনয়ন। কিন্তু ওবায়দুল হকসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের গুড বুকে ছিলো এই বদির নাম।

বদির স্থলে দলের টিকিট দেওয়া হয় তার স্ত্রী শাহিন আক্তারকে। সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার–৪ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। তিনি এমপি হলেও বদির ইশারায় চলতো সবকিছু। তার দাপটে বিএনপি-জামায়াতসহ কেউ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। তার বিরুদ্ধে অবস্থান মানে সাক্ষাৎ মৃত্যুকে দাওয়াত দেওয়া।

এদিকে মিয়ানমার থেকে দেশে ইয়াবা পাচারের অন্যতম রুট হয়ে ওঠে টেকনাফ। অভিযোগ আছে বদির পৃষ্ঠপোষকতায় এসব চলত। এমপি বদির ভাই ও আত্মীয়-স্বজন নিয়ন্ত্রণ করত সীমান্তের পুরো মাদক সাম্রাজ্য।

বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধদিপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় নাম এলেও প্রকাশ্যে ইয়াবার রাজ্যে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বদি ও তার সহযোগীরা।

আওয়ামী সরকারের সাথে সাথে পতন হলো দেশের এই মাদক মাফিয়ার

পাঠকের মতামত

প্যাড ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের ভুয়া কমিটি প্রকাশ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের নামে ফেসবুকে ভূয়া কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। উক্ত ভূয়া প্যাডে ...