ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার:
বাহিরের চেয়ে কারান্তরীন এমপি বদি অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন কক্সবাজারে। দলমত নির্বিশেষে অগণিত মানুষের মন ছুঁয়েছেন তিনি। পেয়েছেন উখিয়া-টেকনাফবাসীর নির্ভেজাল ভালবাসা ও আশির্বাদ। তাঁর মুক্তির প্রচারণাকে ঘিরে ছাপাখানা সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা কাটাচ্ছেন নির্ঘুম রাত। পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার ইত্যাদি ছড়িয়ে পড়ছে উখিয়া টেকনাফের অলি-গলির দেয়ালে দেয়ালে। কক্সবাজার ডিঙ্গিয়ে দেশ-বিদেশে তিনি ছিলেন তাজা খবর। পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনায় চায়ের দোকান থেকে শুরু করে গৃহিনীর রান্না ঘরের বিষয়বস্তু ছিলেন এমপি বদি। ছাপাখানা সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, বদির মুক্তি সংশ্লিষ্ট ছাপাকাজে কমপক্ষে ২০ লাখ টাকার ব্যবসা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দুদকের মামলায় অল্প কদিন কারাভোগের মাঝেই তাঁর নির্বাচনী এলাকা উখিয়া টেকনাফে ঘটেছে অনেক নাটক। বদি কারাগারের বাহির ও রাজনীতি থাকলে নিজেদের সর্বনাশ হবে, এরকম অনেকেই আগে-ভাগেই নেমে পড়েছিলেন নির্বাচনী প্রচারণায়। তারা মুঠো মুঠো টাকা খরচ করেই বিরুপ প্রচারণা চালিয়েছেন এমপি বদির জন্য। বলেছেন, তিনিতো শেষ, কম হয়েছে সাজা, বের হতে পারবেন না ইত্যাদি।
তবে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, আইনী প্রক্রিয়ায় তার মুক্তি আন্দোলনে গ্রামের সবচেয়ে বুড়ো এবং স্কুল-মদ্রাসার সবার ছোট্ট ছেলেটিও নিয়েছেন অংশ। তাদের সকলের দাবী একটাই, গরীবের বন্ধু এমপি বদি কারাগারো থাকতে পারে না। বদির জন্য বুকের ভেতর অন্য এক মায়া নিয়ে কাজ করেছেন তার পরিবার, টেকনাফ পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলম বাহাদুর, উখিয়া আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান, হামিদুল হক চৌধুরী ও হেলালসহ অনেকেই।
বুধবার উচ্চ আদালত থেকে এমপি বদির জামিন সংবাদে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে তারা স্রষ্টার কাছে শোকরিয়া আদায় করেছেন। একে অপরকে মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ মিছিল হয়েছে দু’উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন কারা নির্যাতিত এই মজলুম নেতাকে সংবর্ধনা দিতে।
উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার কয়েকজন শীর্ষ আওয়ামীলীগ নেতা মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে জানান, কারাগারে থেকে নির্বাচন করলেও এমপি হবেন বদি। এখন যেহেতু তিনি জামিন পেয়েছেন, এলাকায় আসলে জনতার বাঁধভাংগা স্রোতে অভিষিক্ত হবেন তিনি। পাবেন অজস্র ভালবাসা।