গাড়ির ভেতরটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। আছে ওয়াইফাই প্রযুক্তি, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরাসহ বেশ কিছু সুবিধা। ভেতরে বসার জন্য আছে আরামদায়ক আসন। এসব সুবিধা আছে কারাবন্দিদের জন্য আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত প্রিজন ভ্যানে।
এমন সুবিধা সংবলিত দুটি ওয়েববেজড প্রিজন ভ্যান যুক্ত হয়েছে দেশের কারাগারে। তবে সব বন্দিকে এই গাড়িতে ওঠানো হবে না। কেবল জঙ্গি, ভয়ঙ্কর অপরাধী, অসুস্থ ও ভিআইপি বন্দিদের আনা-নেওয়ার জন্য এই প্রিজন ভ্যান ব্যবহার করা হবে। এই প্রিজন ভ্যানে অবস্থান করা কয়েদি ও কারারক্ষীদের গতিবিধি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এই ওয়েববেজড প্রিজন ভ্যানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্নস্থানে অনেকভাবে অনেকে সুযোগ সুবিধা গ্রহণের প্রচেষ্টা করেছেন। আপনারা জানেন, কিছু দিন আগে প্রিজন ভ্যান থেকে দুজন ভয়ঙ্কর জঙ্গি পালিয়ে গেছে। এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে কারণে এই ওয়েববেজড প্রিজন ভ্যান চালু করা হয়েছে। এখন থেকে জঙ্গি ও ভয়ঙ্কর অপরাধীরা আর পালাতে পারবে না। নতুন এই প্রিজন ভ্যানের মাধ্যমে তাদের আনা নেওয়ার সময় আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
নতুন প্রিজন ভ্যানের বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেছার আলী এনটিভি অনলাইনকে জানান, জঙ্গি, ভিআইপি ও অসুস্থ বন্দিদের জন্য এই বিশেষ ওয়েববেজড প্রিজন ভ্যান চালু করা হয়েছে। অন্য প্রিজন ভ্যান থেকে এর সুবিধা অনেক বেশি। কারণ কন্ট্রোল রুম থেকে আমরা পুরো প্রিজন ভ্যানের সব কিছু পর্যবেক্ষণ করতে পারব। এর ভেতরে কে কী ধরনের কাজ করছে তা আমরা দেখতে পাব। ফলে বন্দিদের গতিবিধি খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।
প্রিজন ভ্যান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্রুতি রানী ঘরানী, অতিরিক্ত আইজি প্রিজন কর্নেল ইকবাল হাসান, ঢাকার ডিআইজি প্রিজন মো. তৌহিদুল ইসলামসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তারা।