দেশের সবচেয়ে বড় কারা ঈদ জামাত হবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। ঈদের দিন সকাল ৮টায় একসঙ্গে ৯ হাজারের বেশি বন্দি ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
বন্দিদের ঈদের নামাজের জন্য কারা কর্তৃপক্ষ সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আনন্দঘন পরিবেশ তৈরিতে কারাগারে বিশেষ পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। বন্দিদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে স্বজনদের দেওয়া নতুন পোশাক। পরিবেশন করা হবে বিশেষ খাবার।
সোমবার (২ মে) দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলম বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের মাঠে আমাদের ৯ হাজার বন্দির জন্য ঈদের জামাত আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জামাত। এর আগে সকাল ৭টায় শুরু হবে কারা সদস্য ও স্টাফদের ঈদের জামাত।’
করোনার কারণে গত দুই বছর কারাগারগুলোতে ঈদের জামাত বন্ধ ছিল। এমনকি স্বজনদের খাবার সরবরাহ করতেও নিষেধ করা হয়েছিল।
কাশিমপুরের চার কারাগার প্রস্তুত
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার, নারী কারাগার, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ ও ২-এ ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়েছে।
চারটি কারাগারেই আলাদা জামাত হবে। এজন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এর সিনিয়র জেল সুপার আমিরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা কারাগারের মাঠে ঈদ জামাত করার প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে আবহাওয়া ভালো না থাকলে বিভিন্ন কারাসেলে জামাত হবে। প্রথমে কারারক্ষী ও স্টাফরা সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ আদায় করবেন। পরে বন্দিদের জামাত হবে।’
কাশিমপুরের কারগারগুলোতেও বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের জন্য ঈদের পোশাক পাঠিয়েছেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক। যা বন্দিদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে।
বিভাগীয় শহরের কারাগারে ঈদের আমেজ
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের সব জেলা ও বিভাগীয় কারাগারে ঈদের আমেজ শুরু হয়েছে। স্বজনদের দেওয়া নতুন পোশাক পাচ্ছেন বন্দিরা। বিভাগীয় কারাগারগুলোতেও ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ঈদের জামাতের পাশাপাশি বন্দিদের উন্নতমানের খাবারও দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে বন্দিদের স্বজনরা নতুন পোশাক দিতে শুরু করেছেন। সেগুলো বন্দিদের পৌঁছে দিয়েছি।’
এবারও বাড়ির খাবার নয়
ঈদের দিন বন্দিদের জন্য কারাগারে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকালে পায়েস-মুড়ি, দুপুরে পোলাও, রোস্ট এবং রাতে পোলাও-মাংস, মাছ, সালাদ, পান-সুপারি ও ঠান্ডা পানীয়র ব্যবস্থা থাকবে। তবে করোনার কারণে এবারও স্বজনদের খাবার বন্দিদের দেওয়ার সিন্ধান্ত হয়নি। তবে স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা থাকবে