বন্ধু হিসেবে আপনি যার সঙ্গে মিশছেন সে প্রতারক কিনা তা বোঝার কিছু লক্ষণ আছে। আপনার বন্ধুর সঙ্গে এই লক্ষণ মিলে গেলে আপনারও সাবধান থাকা জরুরী। আবার অপহরণ করে টাকা চাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে হর হামেশা। খবরের পাতায় চোখ রাখলেই আজকাল দেখা যায় বন্ধুদের প্রতারণার খবর। কখনো বেড়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ আবার কখনো খুন। অথচ বন্ধুর প্রতি সরল বিশ্বাসের কারণে একবারের জন্যও মেয়েরা ভাবছেন না তাদের বিপদের কথা। নির্দ্বিধায় বন্ধুর ফেলা টোপে পা দিয়ে বিপদে পড়ছেন।
আপনার অনুভূতির মূল্য দেয় না:
আপনার বন্ধুটি কি শুধু নিজের সময় সুযোগ মতোই সময় দিচ্ছে আপনাকে? নাকি আপনার অনুভূতিরও কিছুটা মূল্য দিচ্ছে? বন্ধুকে অতিরিক্ত স্বার্থপর মনে হলেও কিন্তু সাবধান হয়ে যেতে হবে। কারণ বন্ধুর রূপধারী প্রতারকরা সাধারণত স্বার্থপর আচরণ করে।
অতিরিক্ত মিষ্টি কথা:
প্রতারকের অতিরিক্ত মিষ্টি কথায় ভুলে গেলে চলবে না। আপনার মন ভোলানোর জন্য আপনার বন্ধুটি অতিরিক্ত মিষ্টি কথা বলার সম্ভাবনা আছে। আপনার সব কথাতেই যদি সে এক বাক্যে রাজি হয়ে যায় তাহলে আপনার কিছুটা সাবধান থাকা জরুরী নিজের নিরাপত্তার খাতিরে।
নির্জনে ডাকা:
আপনার বন্ধু যদি আপনাকে নিয়ে খুব নির্জন স্থানে সময় কাটাতে চায় কিংবা বাড়ি থেকে পালিয়ে দূরে কোথাও নিয়ে যেতে চায় তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু রূপী প্রতারককে এড়িয়ে চলবেন। কারণ আপনার বিপদে পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। এক্ষেত্রে আবেগকে প্রশ্রয় না দিয়ে বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ ধীরে ধীরে কমিয়ে ফেলুন। উইকি হাউ।
পরিবারের ঠিকানা জানাতে চায় না:
আপনার বন্ধু কোথায় থাকে তা জানা আছে তো আপনার? কিংবা তার পরিবারের কারও সঙ্গে পরিচয় আছে? যদি না থেকে থাকে তাহলে আজই জানার চেষ্টা করুন। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বন্ধু রুপী প্রতারকরা তাদের পরিবার কিংবা ঠিকানা সম্পর্কে কিছুই জানাতে চায় না।
আর্থিকভাবে আপনার উপর নির্ভরশীল:
খাবারের বিল, রিকশা ভাড়া, আইসক্রিম খাওয়ার টাকা সব কিছুই কি আপনিই দিচ্ছেন? তার ‘মানিব্যাগ আনতে ভুলে গেছি’ কিংবা ‘খুচরা টাকা নেই’ অজুহাত শুনতে শুনতে যদি আপনি ক্লান্ত হয়ে থাকেন তাহলে কিছুটা সাবধান হওয়া জরুরী আপনার। কারণ এধরণের বন্ধুরা সাধারণত প্রতারক হয়ে থাকে।
একা আসতে বলা:
আড্ডায় একা আসতে বলা কিংবা সব সময়ই একা দেখা করতে বললেও সাবধান হওয়া জরুরী। আপনার সঙ্গে আপনার কোনো বান্ধবী কিংবা পরিবারের কেউ যেতে চাইতে যদি সে তাতে বিরক্ত হয় তাহলে এধরণের বন্ধুর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখাই ভালো। (সংগৃহীত)