বাংলাদেশের চলমান বন্যার পানিতে বন্দি ফেনী, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, হবিগন্জ সহ প্রায় ১১,টি জেলার ১২, লাখ পরিবার। ২৭ আগষ্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দের সরকারী হিসাবে ইতোমধ্যে ২৭, জনের মৃত্যু হয়েছে, ৫৬, লাখ মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আছে ৫, লাখ মানুষ। এমন ভয়াবহ অবস্থা বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্য বাংলাদেশের ১৯৯২, সালের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি ১২, সদস্যর প্রতিনিধি দল আজ ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ও লক্ষীপুর সহ বিভিন্ন জেলায় বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের এমন দুরবস্থায় পাশে থাকতে চাই নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।
বাংলাদেশের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আজ শনিবার ৩০০০ পরিবারকে নগদ অর্থ ও চাউল, ডাল, তৈল, লবণ, মরিচ, হলুদ, পিয়াস সহ ত্রান সামগ্রী প্রদান করতে এগিয়ে এসেছেন, স্বাগতিক জনগোষ্ঠীর সাথে সংহতি প্রকাশ করতে। ত্রাণ সংগঠক আরমান ইলাহী, সৈয়দুল হক, আব্দুর রশিদ, মাজেদ আব্দুল্লাহ ও সিরাজুল হক আবরার বলেন আমরা কেবল রোহিঙ্গা শরণার্থী, কিন্তু আমরাও মানুষ! সবথেকে বেশি আমার ও মানুষের দুঃখ দুর্দশা অনুধাবন করতে পারি, কারণ দীর্ঘ টানা তিন যুগ ধরে ৩২, বছর যাবৎ নিজ দেশের ফেরার কথা ভাবতে ও পারিনি সুতরাং আশ্রয় নিযে থাকা কথাটা কষ্টসাধ্য সবথেকে বেশি আমরাই বুঝি। তাই তরুণ শরণার্থী হিসাবে, আমরা এটি কেবল ফেনী নোয়াখালী লক্ষীপুর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য অনুভব করি না, ২০২২ সালে সিলেটের বন্যার্তদের পাশে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ছিল, আমরা অন্যান্য বিপদের সময়ে বাংলাদেশের অন্যান্য মানুষের পাশে থাকতে চাই।”
নিবন্ধিত শরণার্থীদের একই দল পূর্বে সীতাকুণ্ড বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিপর্যয়কর অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছিল, যার ফলে কয়েক ডজন লোক মারা গিয়েছিল। তারা মারাত্মক অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য রক্ত ও নগদ অর্থ দান করেছেন।
ভয়াবহ বন্যার ক্ষতিগ্রস্ত ১১টি জেলায় লোকেরা নিজের ভিটা মাটি হারিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় হওয়ার সামাজিক এবং মূলধারার মিডিয়ার প্রতিবেদনে আলোড়িত, তরুণ নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাহিরের দেশে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ও মালয়েশিয়া সহ ক্যাম্পে বসাবাসরত পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই, ২০/৫০ টাকা করে চাউল, ডাল সহ কালেকশনের মাধ্যমে জরুরী সরবরাহের জন্য নিজেদের দায়িত্ব নিয়েছে। শনিবার জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।