ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে ‘ন্যাশনাল ওয়েজ এন্ড প্রডাক্টিভিটি কমিশন রিপোর্ট-২০১৫’ গ্রহণকালে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে দেশের হাওর এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। বর্তমানে সিলেট এলাকায় যে বন্যা দেখা দিয়েছে তা দেশের দক্ষিণাঞ্চলেও বিস্তৃত হতে পারে।
তিনি বলেন, আগস্টের শেষ দিকে দেশের দক্ষিণাঞ্চল বন্যা প্লাবিত হতে পারে। তবে এ বন্যা মোকাবেলায় আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রীসহ বন্যা দুর্গত এলাকার জনগণকে সহায়তায় আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আমরা নিম্ন পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করছি। তবে যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেশের অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলে।
আগের দু’টি প্রলয়ংকরী বন্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৮৮ সালে খাদ্য সংকটে বহু মানুষ মারা গেছে। তবে তার সরকার ১৯৯৮ সালের বন্যা সফলভাবে মোকাবেলা করেছে। এটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা। দেশের ৭০ শতাংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাংলাদেশের একটি সাধারণ বিষয়। সেজন্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেকোনো দুর্যোগে প্রতিটি বিভাগকে দায়িত্ব পালন ও পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য স্থায়ী নির্দেশ দেয়া আছে।
ন্যাশনাল ওয়েজ এন্ড প্রডাক্টিভিটি কমিশনের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘ন্যাশনাল ওয়েজ এন্ড প্রডাক্টিভিটি কমিশন রিপোর্ট-২০১৫’ রিপোর্ট হস্তান্তর করেন। রিপোর্টে ৬টি সেক্টরের ৯১টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ৬০ হাজার শ্রমিকের জন্য নতুন বেতন কাঠামোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ সময় শ্রমমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, শ্রম সচিব মিখাইল শিপার, মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং ১৮ সদস্যের ওয়েজ কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।