সমুদ্র শহর ও ক্রীড়ার তীর্থভূমি কক্সবাজার থেকে যাত্রা শুরু করল কক্সবাজার ফুটবল রেফারীজ ফোরাম নামে একটি শক্তিশালী সংগঠন। রেফারীদের সঠিক মূল্যায়নের জনশ্রুতি দিয়ে চলা প্রথমদিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ১০৫ জন প্রশিক্ষিত রেফারী উপস্থিত ছিলেন।
এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্টানমালার আয়োজন করেন সাবেক তারকামানের খেলোয়াড়রা। ২৩ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বিকাল ৩টায় কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ট রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে অনুষ্টিত অভিষেক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক তারকা ফুটবলার মাহমুদুল করিম মাদু।
সাবেক খেলোয়াড় জামাল সাদেক এর পরিচালনায় অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন, কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জসিম উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন-জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন এর সাবেক সভাপতি জাহেদ উল্লাহ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাংবাদিক এমআর মাহবুব, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, আলী রেজা তসলিম, টেকনাফ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, জাতীয় রেফারী আবুল কাশেম, ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সদস্য আবছার কামাল, ক্রীড়া সংগঠক ছানাউল্লাহ ও মহেশখালী উপজেলা ফুটবল এসোসিয়েশন এর সভাপতি শামসুল আলম।
অনুষ্টানে সাবেক কৃতি খেলোয়াড় ও রেফারীবৃন্দ অতীতের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় রেফারী আবদু শুক্কুর রানা, ছৈয়দ করিম, সিনিয়র রেফারী ইসমাইল, গিয়াস উদ্দিন, আমিনুল হক, মোফাচ্ছেল ফরাজী মেম্বার, দ্বিতীয় শ্রেনীর রেফারী মাঈনুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা দলের সাবেক অধিনায়ক ইসমাঈল জাহেদ, চকরিয়া উপজেলা থেকে বোরহান, উখিয়া থেকে মোহাম্মদ সালাম ও মোহাম্মদ সোহেল, মহেশখালী থেকে শওকত ওসমান, রামু থেকে সাবেক জেলা দলের স্ট্রাইকার জাহাঙ্গীর ও টেকনাফ উপজেলা থেকে হেলাল উদ্দিন। ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাঠকাঁপানো প্রথম শ্রেনীর রেফারী সাইফ মুন্না ও শিমুল বড়ুয়া এবং দ্বিতীয় শ্রেনীর রেফারী ধীমান বড়ুয়া খেলা পরিচালনার দায়িত্ব থাকায় অনুষ্ঠানে আসতে না পারলেও সংহতি জানান।
দীর্ঘ বক্তব্যে তাঁরা রেফারী জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপজেলা থেকে অভিষেক অনুষ্টানে যোগ দেয়া নবীন ও প্রবীণ রেফারীদের সামনে উপস্থাপন করেন। এসময় ফোরামের দায়িত্বশীল সকল নেতৃবৃদকে আগামী দিনে খেলাধুলা ও রেফারীদের কর্মকা- সফল করতে সকল সদস্যদের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এড. জসিম উদ্দিন বলেন, কক্সবাজার হচ্ছে খেলাধুলার র্তীথস্থান। এখান থেকে জাতীয়মানের ফুটবল ও ক্রিকেটার তৈরী হচ্ছে। সেই কারনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটি কোটি টাকার প্রকল্প দিয়ে আন্তর্জাতিকমানের ষ্টেডিয়াম দিয়েছেন যা আমরা এখন ভোগ করতেছি। আবার কক্সবাজার থেকে এখন ফিফা ও বাফুফের সর্বোচ্চ মানের রেফারী নেতৃত্ব দিচ্ছে সামনে আরো দিবে। এখন প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে কক্সবাজারের ক্রীড়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।
নবযাত্রায় ফুটবল রেফারীজ ফোরামের অগ্রযাত্রায় তিনি প্রশংসা করে বলেন, ১০৫ জনের সিনিয়র ও পেশাদার জুনিয়র রেফারী সত্যি উপস্থিতি প্রমান করেছে ফোরাম স্থায়ীরূপ নিবে। তবে মাঠে শতভাগ রেফারীর পেশাদ্বারিত্ব বজায় রাখতে হবে। আগামীতে ফুটবল রেফারীজ ফোরামের যেকোন কাজে সবসময় পাশে থেকে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি এবং আজ থেকে কক্সবাজার স্টেডিয়াম ফোরামের সকল সদস্যদের জন্য অনুশীলনের জন্য ঘোষনা দেন।
উল্লেখ্য-এই ফোরামে দুইজন জাতীয় রেফারী, ৭ জন প্রথম শ্রেনীর, ৯জন দ্বিতীয় শ্রেনীর ও ৮২ জন ৩য় শ্রেনীর রেফারী সদস্য হিসেবে রয়েছে।
সবার মতামতের ভিত্তিতে দ্রুত জেলা কমিটি ঘোষনা করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রেফারী সাবেক কৃতি ফুটবলার ছৈয়দ করিম।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগামী আসর বসার কথা পাকিস্তানে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতেই টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে। তবে মূল ...
পাঠকের মতামত