প্রকাশিত: ১৪/০৭/২০১৬ ৭:৪১ পিএম

fishকামাল শিশির , ঈদগড়::
কক্সবাজার রামুর ঈদগড়ে ছোট ছোট নদী, খাল বিল,ডোবা ও নিছু ভূমি ক্রমশঃ ভরাট হয়ে যাওয়ায় দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে। কোথাও দু’একটি খাল বিল থাকলেও সেখানে তেমন কোন দেশীয় মাছ পাওয়া যাচ্ছেনা। এইবার বর্ষাকালেও দেশীয় মাছের চরম অকাল। দেশীয় টেংরা,পুঁটি,শিং,মাগুর,কৈ,টাকি,শোল,বোয়াল,,রুই,কাতলা,মৃগেল, মাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। অন্যদিকে বাজারে চেয়ে গেছে হাইব্রিড মাছ। বর্ষা মৌসুমে দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরা পড়েনা। গরম কালে উৎসমুখে বাঁধ নির্মাণ করায় এই সব নদী বছরে প্রায় ৯মাস শুকনো থাকে। ফলে শুকনো মৌসুমে পানি স্বল্পতার কারণে পাওয়া যাচ্ছেনা কোন প্রকার দেশীয় প্রজাতির মাছ। গরম কালে পানি স্বল্পতার সময় অসাধু মাছ ব্যবসায়ী,মাছ চোর সিন্ডিকেট মিলে ছোট ছোট নদীতে পাহাড়ী বিষাক্ত মেল গাছের শিকড় আর কীটনাশক বিষ পানিতে ছিটিয়ে রাতের আঁধারে মাছ শিকার করে। যার কারণে দেশীয় মাছের পোনা সহ বড় বড় মাছ ও দেশীয় চিংড়ি মাছ বিলুপ্তির পথে। অপর দিকে ক্ষেতে ব্যবহারের কীটনাশক বিষ পানিতে ছড়িয়ে মাছ শিকারের কারণে দেশীয় মাছ বংশবিস্তার করতে না পারায় স্বমুলে বিনাশ হচ্ছে। আবার অন্যদিকে অনেক নদী নাব্যতা হারিয়ে প্রায় মৃত। এক সময় এসব নদী পানিতে টয়টম্বর থাকত। এসব নদী থেকে সারা বছর পাওয়া যেত প্রচুর দেশীয় মাছ। এসব নদীতে মাছ ধরে কয়েক শত পরিবার জীবিকা নির্বাহ করত। স্থানীয় অনেকেই জানান,আগেকার সময় ছোট ছোট দ্বারিকা, পুঁটি, টেংরা, পাবদা, ভোদল থেকে শুরু করে বড় বড় শোল, বোয়াল,আইর,কানাচ ইত্যাদি মাছ পাওয়া যেত। এ মাছ বিক্রি করে তাদের সংসারে সব খরচ প্রয়োজন মেটানো যেত। মাছ ক্রয় করতে আসা এক শিক্ষক জানান,নদীগুলোতে দেশীয় প্রজাতির মাছ না পাওয়ায় বাজারে দেশীয় মাছ একেবারেই নেই। কখনো দেশীয় মাছ পাওয়া গেলেও এর দাম নাগালের বাইরে।

পাঠকের মতামত

স্বামীকে ‘নিহত’ দেখিয়ে হত্যা মামলা করা সেই নারী কক্সবাজারে আটক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে সাভারের আশুলিয়ায় স্বামীকে ‘নিহত’ দেখিয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা ...